দুই বছরেই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক! জয়প্রকাশদের নিশানায় সুকান্ত-অমিতাভ
বর্তমান নেতৃত্বকে সরাসরি কাঠগড়ায় তুললেন জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারিরা। সাসপেন্ড হওয়ার পরই জয়প্রকাশ মজুমদারের কটাক্ষ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) অভিজ্ঞতা খুবই কম। মাত্র ২ বছর তাঁরা রাজনীতি করছেন। ‘আদি বিজেপি’ নেতা জয়প্রকাশের অভিযোগ, সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক কাচের ঘরে বসে রাজনীতি করেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই। সংগঠন বা দলের বিষয়ে এদের কোনও ভাবনাচিন্তা নেই।
কয়েক গুণ এগিয়ে রীতেশ তিওয়ারির কটাক্ষ, প্রথম দিন থেকে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। দলের যখন খারাপ সময় ছিল, তখনও দলে ছিলাম। আর আজ কিছু মানুষ ২ বছর রাজনীতি করেই নেতা হয়ে গিয়েছে। এইসব নেতাদের কাছ থেকে আমাদের সার্টিফিকেটের কোনও দরকার নেই। রীতেশের আরও অভিযোগ, কিছু বলতে গেলেই মুখ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে দলে। অনভিজ্ঞ লোকজনদের নিয়ে দল চালানো হচ্ছে।
জয়প্রকাশের হুশিয়ারি, ‘আমাদের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে দল বিরোধী কাজ করেছে। কিন্তু কীভাবে সাসপেন্ড হওয়ার খবর আমাদের আগে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়ে গেল? এই দলের কোনও সংগঠন নেই।’ জয়প্রকাশের আরও অভিযোগ, জেপি নাড্ডা বলার পরেও কমিটি তৈরি হয়নি। নিজেদের খুশি মতন কাজ করছেন সুকান্ত-অমিতাভরা। মাত্র আড়াই বছর রাজনীতি করে রাজ্য সভাপতি হয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। কেবল বলা হল, শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছি। আগে পরিষ্কার করুক, কে শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছে, আমরা না কমিটির শীর্ষনেতারা?