সাইবার অপরাধ দমন করতে প্রশিক্ষণ নিল কলকাতা পুলিশ
সাইবার অপরাধ থেকে ব্যাঙ্ক প্রতারণা, সবেতেই কর্মপদ্ধতি বদলাচ্ছে অপরাধীরা। আর তার ফলে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা তো বটেই, তদন্তেও পদে পদে হোঁচট খেতে হচ্ছে আইনরক্ষকদের। তাই সেই সমস্যা কাটিয়ে কী ভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, কী ভাবে অপরাধ ঘটে গেলে সাধারণের টাকা ফিরিয়ে আনা যায় বা অভিযোগ এলে প্রথমেই কী করতে হবে— সেই বিষয়ে পাঠ নিলেন কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন থানার ওসি এবং অতিরিক্ত ওসিরা। বহু ক্ষেত্রেই অপরাধের অভিযোগ দ্রুত পাওয়া জরুরি। আবার অভিযোগ নিয়ে গড়িমসি করলে প্রতারকদের হাতে টাকা যাওয়া আটকানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে কী করতে হবে, তার একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে ওই কর্মশালায়।
লালবাজার সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরে শহরে সাইবার অপরাধ বা ব্যাঙ্ক প্রতারণা বেড়েছে অনেকটাই। তাই সেই ঘটনার দ্রুত তদন্ত করতে ওসি এবং অতিরিক্ত ওসিদের নিয়ে শনিবার থেকে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত কলকাতা পুলিশের ৯টি ডিভিশনের ১৮ জন ওসি এবং অতিরিক্ত ওসিদের সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেন লালবাজারের একজন যুগ্ম কমিশনার এবং সাইবার ও ব্যাঙ্ক প্রতারণা দমন শাখার আধিকারিকেরা। ধাপে ধাপে কলকাতা পুলিশের সব থানার ওসি এবং অতিরিক্ত ওসি-কে ওই কর্মশালায় অংশ নিতে হবে।
সাইবার অপরাধ কোন পদ্ধতিতে হচ্ছে এবং কী ভাবে সতর্ক থাকা যাবে, তা নিয়ে ওই কর্মশালায় আলোচনা করা হয়েছে। লালবাজার জানিয়েছে, সাইবার অপরাধের মধ্যে যেমন পাসওয়ার্ড হ্যাকিং, অনলাইনে প্রলোভন, ফেসবুক-সহ বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে অপরাধ বা নেটব্যাঙ্কিং, এটিএম কার্ডজনিত বা ওটিপি নিয়ে ব্যাঙ্ক অপরাধ হলে অভিযোগ জানানোর পরে থানার কী কাজ, তা-ও বোঝানো হয়েছে।