সিএএ নিয়ে এবার মতুয়াদের সংঘবদ্ধ হওয়ার ডাক শান্তনু ঠাকুরের
বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁকে দেখা গিয়েছে বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক বা পিকনিক করতে। এহেন শান্তনু ঠাকুর এবার মতুয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গেও জনসংযোগ বাড়ানোর দিকে মন দিলেন। ঠাকুর বাড়ির সন্তান মতুয়াদের মধ্যে গিয়ে তাঁদের ক্ষোভ, হতাশার কথা শুনতে চান। সিএএ ইস্যুতে যেই মতুয়ারা বিজেপিকে বিপুল ভাবে সমর্থন জানিয়েছে, সিএএ লাগু না হওয়ায় সেই মতুয়াদের মধ্যে ক্রমেই বাড়ছে অসন্তোষ। এই পরিস্থিতিতে মতুয়াদের একজোট হওয়ার ডাক দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ।
মতুয়াদের প্রতি এক বার্তায় শান্তনু বললেন, ‘সমাজে জায়গা করে নেওয়ার একমাত্র উপায় সংঘবদ্ধ থাকা।’ উল্লেখ্য, লোকসভার সাফল্যকে বিধানসভা নির্বাচনে ছাপিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল বিজেপি। তবে সেই স্বপ্ন ভেঙেছে। আর তারপর থেকে ধীরে ধীরে দলও ভাঙছে। তার উপর সম্প্রতি দলের অন্দরে শুরু হয়েছে আদি বনাম নব্যের নয়া লড়াই। যেখানে বিক্ষুব্ধদের সামাল দিতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন রাজ্য নেতৃত্ব। হেভিওয়েট বিদ্রোহীদের ঠেলায় কখনও কখনও কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন পদাধিকারীরাই। আবার পাল্টা পদক্ষেপে বাড়ছে ফাটল। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি কি তাদের ভোটব্যাঙ্ক টিকিয়ে রাখতে পারবে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গলের অন্দরেই।
এই আবহে মতুয়াদের সংঘবদ্ধ করে দলের অন্দরে ও বাইরে নিজের প্রভাব ঝালিয়ে নেওয়ার কৌশল অবলম্বন করলেন শান্তনু ঠাকুর। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তাই মতুয়াধাম ঠাকুরনগরে স্বাস্থ্যশিবিরের আয়োজন করেছিলেন শান্তনু ঠাকুর। এরপর বুধবার চাকদহের লক্ষ্মীপুর গ্রামে মতুয়াদের ধর্মসভাতেও যোগ দেন তিনি। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘আমাদের আর্থিক মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মতুয়াদের তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হয়। এই অবস্থা বদলাতে হবে। নিজের দেশে থেকেই কেন বিদেশি হব? ভারতের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও আমরা রাতারাতি বেনাগরিক হয়ে গেলাম। এই অবস্থার জন্য কে দায়ী? আমাদের শিক্ষা নিয়ে রাজনৈতিক অধিকার অর্জন করতে হবে। আমাদের ১০০ বছরের ইতিহাসের কোথাও পড়ানো হয়? ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। গুরুচাঁদ ঠাকুর বলেছিলেন, তোমরা শিক্ষা নাও, রাজনীতি করো। ভাবতে হবে দেশভাগের চক্রান্তটা কত বড় ছিল। মতুয়াদের জঙলি পশুদের মতো ফেলে দেওয়া হয়েছিল।’