জাগো বাংলায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে একের পর এক আক্রমণ শানালো তৃণমূল
বঙ্গের শাসকদলের সঙ্গে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিবাদ ক্রমশ বাড়ছে। এবার তার প্রতিফলন দেখা গেল তৃণমূলের (TMC)মুখপত্রে। ‘জাগো বাংলা’র (Jago Bangla) সম্পাদকীয়তে সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলা হয়েছে – ‘নতুন নীতিশাস্ত্র তৈরি করার আপনি কে?’ এতেই স্পষ্ট, রাজ্য ভালভাবে চালানোর জন্য সংবিধান আর প্রশাসনের সহাবস্থান দূর অস্ত, উত্তরোত্তর বাড়ছেই সংঘাত।
চলতি সপ্তাহেই বিধানসভা ভবনে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার সম্পর্কে, মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা সম্পর্কে একের পর এক কড়া আক্রমণ শোনা গিয়েছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) গলায়। প্রায় ৪৫ মিনিটের দীর্ঘ ভাষণের গোটাটাই তিনি ব্যয় করেছিলেন সরকারির নানা ত্রুটিবিচ্যুতির কথা উল্লেখ করতে, সমালোচনায় ভরাতে। এরপরই তাঁর বিরোধিতায় আসরে নামেন বিধানসভার স্পিকার। তিনি স্পষ্ট বলেন, রাজ্যপালের এই আচরণ অত্যন্ত অসৌজন্যমূলক। একে একে তৃণমূল সাংসদ, বিধায়করাও তাঁর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন।
এরপর বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে কালীঘাটের ভারচুয়াল বৈঠকে দলীয় সাংসদরা রাজ্যপালকে অপসারণ নিয়ে স্বতন্ত্র প্রস্তাব আনার বিষয়টি আলোচনা করেন। হয়ত বাজেট অধিবেশনে তাঁরা এই প্রস্তাব আনতে পারে। এ বিষয়ে নির্দিষ্ট স্ট্র্য়াটেজি তৈরি হচ্ছে। তবে তার আগে শুক্রবার ‘জাগো বাংলা’ অর্থাৎ তৃণমূলের সম্পাদকীয়তে রাজ্যপালকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেওয়া হল। কী উদ্দেশ্য নিয়ে আসলে তিনি বাংলার সাংবিধানিক প্রধানের পদে বসেছেন, তা নিয়েও তীব্র কটাক্ষ রয়েছে সম্পাদকীয়তে। তাতে ধনকড়কে ‘বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী’ বলে উল্লেখ করে কটাক্ষ – ”বাংলার সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করার হোমওয়ার্ক নিয়ে এসেছেন অমিত শাহদের কাছ থেকে।”
সম্পাদকীয়তে আরও তোপ – আইনজীবী বলে কথায় কথায় সংবিধানের ধারা উল্লেখ করেন। কিন্তু কখনওই বলেন না ১৯৪৯ সালে লেখা সংবিধানের ১৬৩ ধারায় কী বলা হয়েছে। এই রাজ্যপাল পদটি অটুট রাখা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। ‘জাগো বাংলা’র এই সম্পাদকীয়তে শাসকদলের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের পারদ আরেক প্রস্ত চড়ল, তা বলাই বাহুল্য।