বাজেট অধিবেশনের শুরুতে থাকছে না ‘প্রশ্নোত্তর পর্ব’, বিরোধীদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে সরকার?
এবার দুই দফায় হতে চলেছে সংসদের (Parliament) বাজেট অধিবেশন (Budget Session)। প্রথম পর্বের অধিবেশন শুরু হবে ৩১ জানুয়ারি। চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্ব চলবে ১৪ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত। ১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitaraman)। বাজেট অধিবেশনের প্রাক্কালে এদিন রাজ্যসভার সদস্যদের জন্য আদর্শ আচরণবিধি (Cod of Conduct) জারি হল। এইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাজেট অধিবেশনের প্রথম দু’দিন ‘জিরো আওয়ার’ (Zero Hour) ও ‘কোশ্চেন আওয়ার’ (Question Hour) বা প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে না। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিরোধীদের বক্তব্য, প্রশ্ন করার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে সরকার।
আসন্ন বাজেট অধিবেশনে রাজ্যসভার সদস্যদের জন্য আদর্শ আচরণবিধি জারি করেছেন সংসদের উচ্চ কক্ষের চেয়ারম্যান এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু (M Venkaiah Naidu)। আদর্শ আচরণবিধি বা কোড অফ কন্ডাক্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সংসদ কক্ষে অধিবেশন চলাকালীন সংসদ সদস্যদের আরও বেশি দায়িত্ববান হতে হবে। জনতার সার্বিক উন্নয়নের কথা মাথায় রাখতে হবে। সংসদ কক্ষে ভাল আচরণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে হবে।
বলা হয়েছে, দেশের সংবিধান, আইন ও সংসদীয় মর্যাদাকে সবার উপরে মান্যতা দিতে হবে। সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা আদর্শ আচরণবিধিকে মান্যতা দিতেও বলা হয়েছে। এমন কিছু করা যাবে না যা সংসদের কাজকে ব্যাহত করে। মানুষের ভালর জন্য একজন সাংসদের সংসদীয় ক্ষমতাকে প্রমাণ করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের বিষয় ও সার্বিক উন্নয়ন অন্তরায় হয়। সেক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়নের ভাবনাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
সংসদের ভিতরের কোনও বিষয়ের ভোটাভুটির সময় যেন কোনও সাংসদ কোনও ধরনের প্রাপ্তির আশা না করেন, কোনও রকম অর্থ বা পারিশ্রমিক বা উপহার গ্রহণ না করেন, এই বিষয়েও সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এই ধরনের পারিশ্রমিক বা উপহার বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর। সংসদের কোনও গুরুত্বপূর্ণ গোপন বিষয়কে সংসদের অনুমতি ছাড়া প্রকাশ্যে আনা যাবে না বলেও আদর্শ আচরণবিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এইসঙ্গে এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাজেট অধিবেশনের প্রথম দুই দিন অর্থাৎ ৩১ জানুযারি ও ১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা ও লোকসভায় ‘জিরো আওয়ার’ ও ‘কোশ্চেন আওয়ার’ থাকছে না। উল্লেখ্য, এই দুই পর্বেই বিরোধীরা বিভিন্ন প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করে থাকেন। আগেভাগে নোটিশ দিয়েই এই দুই পর্বে সরকার পক্ষের কাছে আপত্তিকর বিষয়গুলি তোলেন বিরোধীরা। বাজেট অধিবেশনের প্রথম দুই দিন সেই পর্ব না থাকায় ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। তাদের মতে, প্রশ্ন তোলার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে এই সরকার।