দেশে করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যা
নিওকভ নামের নতুন স্ট্রেনের আতঙ্কের মধ্যে সামান্য হলেও স্বস্তি মিলল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, অ্যাকটিভ কেস, পজিটিভিটি সবটাই নিম্নমুখী। তবে, নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যা। করোনার ওমিক্রন স্ট্রেনের মৃত্যুহার ডেল্টার তুলনায় অনেকটাই কম হওয়ার কথা। কিন্তু গত কয়েকদিনে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধিটা সামান্য চিন্তায় রাখবে
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫৩২ জন। যা আগের দিনের থেকে অনেকটাই কম। দেশের পটিজিভিটি রেটও অনেকটা কমেছে ১৩.৩৯ শতাংশ। সেটাই বেশি চিন্তায় রাখছে চিকিৎসকদের। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের অধিকাংশ বড় রাজ্যেই কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে, সব রাজ্যেই মৃতের সংখ্যাটা ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৮৭১ জনের। এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে অনেকটা বেশি। এখনও পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৯৩ হাজার ১৯৮ জন।
তবে, এই মুহূর্তে যে সংখ্যাটা সরকারকে সবচেয়ে স্বস্তি দিচ্ছে সেটা হল অ্যাকটিভ কেস। এই নিয়ে পরপর বেশ কয়েকদিন কমল দেশের চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ২০ লক্ষ ৪হাজার ৩৩৩ জন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ১ লক্ষ ১ হাজার কম। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৮৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৭১০ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯৩৯ জন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৬৫ কোটি ৪ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা (Corona Vaccine) দেওয়া হয়েছে। যা বেশ সন্তোষজনক বলেই জানাচ্ছে কেন্দ্র। এদিন একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বাবা-মা যদি করোনার টিকা নিয়ে থাকেন, তাহলে তাদের থেকে সন্তানদের শরীরে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে যায় প্রায় ৭২ শতাংশ। অর্থাৎ বড়দের টিকাকরণের এই গতির সুবিধা পাচ্ছে ছোটরাও।