‘কৃষকরা জাতি-বর্ণের ঊর্ধ্বে’ উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের আগে টিকায়েতের মন্তব্যে জল্পনা
উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই সরগরম হচ্ছে পশ্চিমাঞ্চল। কৃষক ইস্যুতে এই পশ্চিম উত্তরপ্রদেশই বিগত একবছর ধরে দীর্ঘ আন্দোলন দেখেছে কৃষকদের। এই আবহে আসন্ন নির্বাচনে কৃষকরা কি বিজেপি থেকে বিমুখ হবেন? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি নেতারাও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ঘাঁটি গেড়েছেন কৃষকদের মান ভাঙাতে। এই পরিস্থিতিতে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত বললেন, ‘কৃষকরা জাতি-বর্ণের ঊর্ধ্বে।’
উল্লেখ্য, রাকেশ টিকায়েত নিজেই জাঠ সম্প্রদায়ের। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের অধিকাংশই জাঠ সম্প্রদায়ের। এবং এই জাঠরা গত তিন নির্বাচনে (২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন, ২০১৭ বিধানসভা নির্বাচন) বিজেপিকেই ভোট দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কৃষক আন্দোলনের ইস্যু ভুলিয়ে কী ফের বিজেপিমুখী হবেন কৃষকরা? ভোট আসতেই কি ফের জাতের নিরিখে কষা হবে অঙ্ক? এই সব প্রশ্নের জবাবে টিকায়েতের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আমাকে জাঠ হিসেবে মনে করবেন না। আমরা কৃষক। কৃষকরা সব জাতি-বর্ণের ঊর্ধ্বে। গোটা রাজ্যেই কৃষক ইস্যু প্রভাব ফেলবে, শুধুমাত্র পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে নয়।’
তবে কি সরাসরি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলকে সমর্থন জানাবেন কৃষকরা? এই বিষয়ে রাকেশ টিকায়েত অকপটে বললেন, ‘কৃষকরা না সরকারের সঙ্গে আছে, না বিজেপির সঙ্গে আছে… সমাজবাদী পার্টি-রাষ্ট্রীয় লোক দলের জোট বা কোনও দলের সঙ্গেই নেই। আমরা আবার কারোর বিরুদ্ধে নই। আমাদের ইস্যু হল কৃষকদের ইস্যু। আমরা দেশের কৃষকদের নিয়ে চিন্তা করছি।’
তবে ইঙ্গিতবহ ভাবে রাকেশ টিকায়েত এও বলেন, ‘আমরা ভোটের ব্যবসায় নেই। কোনও নির্দিষ্ট দলকে ভোট দিতে বা না দিতে আমরা বলছি না কাউকেই। আমরা কৃষক সংগঠন। মানুষ ও কৃষকরা এমনিতেই জানেন কাকে ভোট দিতে হবে। ৪০০ টাকার গ্যাস সিলিন্ডার ১০০০ টাকা কেনা গৃহবধূ জানেন কাকে ভোট দিতে হবে। চাকরি ছাড়া যাঁরা বাড়িতে বসে আছেন, তাঁরা জানেন কাকে ভোট দিতে হবে।’ যোগী সরকারকে খোঁচা মেরে টিকায়েক আরও বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রীরা এখন প্রায় প্রতিদিনই পশ্চিম উত্তর প্রদেশে উড়ে উড়ে আসছেন। তাঁদের উচিত সড়ক পথে আসা, তাহলে তাঁরা কৃষকদের বেহাল দশা দেখতে পারবেন।’