রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

উৎকর্ষ বাংলায় চাকরির গ্যারান্টি! আরও ২ লক্ষ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করছে রাজ্য

January 29, 2022 | 2 min read

কোর্স করলেই চাকরির গ্যারান্টি! এবার খোদ রাজ্য সরকার দিচ্ছে এই প্রতিশ্রুতি। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আরও দু’লক্ষ চাকরি সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে নবান্ন। তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাখির চোখ কর্মসংস্থান। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঢেলে সাজা হয়েছে যুবক-যুবতীদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো। এবার সেই প্রশিক্ষিতদের চাকরি নিশ্চিত করতে ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পের অধীনে নেওয়া হয়েছে নতুন পদক্ষেপ। গ্যারান্টি, তাও আবার নির্দিষ্ট সংস্থার কাছ থেকে। রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী হুমায়ুন কবীর জোর গলায় জানিয়েছেন, একেবারে বাজারের চাহিদা বুঝেই চলছে প্রশিক্ষণ। কোর্স শেষে চাকরি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে অঙ্গীকারপত্র (লেটার অব ইন্টেন্ট) নেওয়া হচ্ছে।

আইটিআই ও পলিটেকনিক বাদ দিয়ে রাজ্যের অনুমোদিত ১৫৯টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে যুবক যুবতীদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আগে কোর্স শেষে অনেকেই কাজ পেতেন না। সেই ছবি এবার পাল্টাতে চলেছে। কীভাবে? মন্ত্রীর দাবি, ‘এখন বিভিন্ন সংস্থা ইন্ডাস্ট্রি রেডি অর্থাৎ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা সম্পন্ন লোক চায়।আমরা ইন্ডাস্ট্রির কাছে জানতে চাইছি, তাদের কোন ক্ষেত্রে কতজন পেশাদার কর্মী প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী আমরা প্রশিক্ষণ শুরু করছি। এগুলি মূলত ছয় মাসের সার্টিফিকেট কোর্স। রাজ্যের বাইরেও এগুলি গ্রাহ্য হবে। কোর্স সফলভাবে শেষ করলেই সংশ্লিষ্ট সংস্থায় চাকরি হবে তাঁদের।’ এই নয়া নিয়ম চালু হয়েছে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮৯ হাজার ২৩৮ জনকে প্রশিক্ষিত করে চাকরিতে নেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। এর মধ্যে ৫১ হাজার ৭০ জনের প্রশিক্ষণের জন্য অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য। ২৬ হাজার ৩২৫ জন এই মুহূর্তে প্রশিক্ষণরত। এক বছরের মধ্যে সংখ্যাটা দু’লক্ষে পৌঁছে দেওয়ার টার্গেট নিয়েছে দপ্তর। প্রস্তাবিত চাকরির জন্য কোর্সের যাবতীয় খরচ বহন করে রাজ্য। বিভিন্ন কোর্সের জন্য মাথা পিছু ১২ থেকে ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয় সরকারি কোষাগার থেকে।

কোন শিল্পে কেমন প্রশিক্ষণের প্রয়োজন, তা জানতে প্রতিটি জেলায় একজন ডব্লুবিসিএস আধিকারিককে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। তার উপরে রয়েছেন সহকারী জেলাশাসক (স্কিলিং)। এভাবে ধাপে ধাপে মহকুমা এবং ব্লক স্তর পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে চাহিদার কথা জানাচ্ছেন। প্রশিক্ষণ শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট শিল্প সংস্থা থেকে চাকরি দেওয়ার অঙ্গীকারপত্র নেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মেনে আধা দক্ষ শ্রমিকের মজুরি মিলবে। কলকাতা বা শহরাঞ্চলে তার পরিমাণ দৈনিক প্রায় ৩৮০ টাকা। গ্রামে ৩৫০ টাকার কাছাকাছি।

রাজ্য পরিচালিত সব আইটিআই কলেজগুলিকে নিয়ে গত মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন মন্ত্রী। সেখানে প্রতিটি কলেজকে বলে দেওয়া হয়েছে আলাদা আলাদা তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে। একই প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে পলিটেকনিক কলেজগুলিকেও। প্রতিটি আইটিআই ও পলিটেকনিক কলেজের সঙ্গে অন্তত দু’টি করে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা হবে। ফলে চাকরিতে নিয়োগ সুনিশ্চিত হবে। সূত্রের খবর, মূলত রিটেল ম্যানেজমেন্ট এবং ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজমেন্ট, এই দু’টি ক্ষেত্রে পেশাদারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও জোর দেওয়া হচ্ছে প্লাম্বিং, মেকানিক্যাল বা ফিটিংয়ের মতো কোর্সে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #jobs, #Utkarsh Bangla

আরো দেখুন