এডিবি ও জাইকার অনুদানে চলা প্রকল্পগুলির কাজ দু’বছরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ রাজ্য মুখ্যসচিবের
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2022/01/ADB-and-JICA.jpg)
এডিবি ও জাইকার অনুদানে চলা প্রকল্পগুলির কাজ ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। শুক্রবার সকালে নবান্নে এ নিয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সচিব ও চিফ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকরা। ছিলেন ভূমি, অর্থ, পূর্তদপ্তরের সচিবরাও। বৈঠকে প্রতিটি জলপ্রকল্পের কাজের অগ্রগতির তথ্য পর্যালোচনা করেন মুখ্যসচিব। তখনই দ্রুতগতিতে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ায় জাইকার অনুদানের চলা ১,২৯৬ কোটি টাকার জলপ্রকল্পের কাজ চলছে। এই প্রকল্প ২০১৫ সালে অনুমোদিত হলেও জমিজট ও অন্যান্য সমস্যার জন্য কাজ শুরু করা যায়নি। সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। আবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের (এডিবি) দেওয়া ঋণে জলপ্রকল্পের কাজ চলছে বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায়। ওইসব প্রকল্পের জন্য ২,২৬৮ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে এডিবি। এইসব প্রকল্পের ৭০ শতাংশ অংশের জন্য সহজ শর্তে ঋণ দেয় এডিবি ও জাইকা। বাকি ৩০ শতাংশ কাজের টাকা দিতে হয় রাজ্য সরকারকে।
নদী থেকে জল তুলে তা পরিশোধন করে সরবরাহ করাই এই জলপ্রকল্পগুলির কাজ। একদিকে, জলস্বপ্ন প্রকল্প, অন্যদিকে এইসব জলপ্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে পরিস্রুত জল, এটাই চান মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে সেই বার্তাই দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। জেলাশাসকদের তিনি বলেন, ওইসব জলপ্রকল্পের কাজে জনসাস্থ্য কারিগরি দপ্তরকে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে একই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নবান্ন চাইছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্রুতগতিতে এই কাজ শেষ হোক।