স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় দেওয়ায় রেকর্ড আয় রাজ্য সরকারের
স্ট্যাম্প ডিউটিতে ২ শতাংশ ছাড় দেওয়ায় গত অক্টোবর মাসে রেকর্ড আয় করল রাজ্য সরকার। ওই মাসে রাজ্যের আয় হয়েছে ১১১০ কোটি টাকা। যা গত দু’বছরে কখনও হয়নি। ২০১৯ এবং ২০২০ সালের অক্টোবরে রাজ্যের আয় হয়েছিল যথাক্রমে ৩১৫ এবং ৪১০ কোটি টাকা। তবে গত নভেম্বর মাসে আয় কিছুটা কম হয়েছে রাজ্যের। ওই মাসে কালীপুজো, ভাইফোঁটা সহ বেশ কিছু ছুটির দিন ছিল। আয় হয় ৪৮৩ কোটি টাকা। ডিসেম্বরে সেই আয় কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৬২০ কোটি টাকা। জানুয়ারি মাসে এখনও পর্যন্ত স্ট্যাম্প ডিউটি খাতে রাজ্যের আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এই ছাড়ের সময়সীমা শেষ হচ্ছে সোমবার। এখন দেখার নবান্ন তা আর বৃদ্ধি করে কি না।
অর্থদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ট্যাম্প ডিউটি খাতে গত আর্থিক বছরে রাজ্যের আয় ছিল ছয় হাজার কোটি টাকা। এবছর স্ট্যাম্প ডিউটিতে দু’শতাংশ ছাড় দেওয়ায় আয় বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। রাজ্যে গ্রামাঞ্চলে স্ট্যাম্প ডিউটি ছিল ৫ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ছিল ৬ শতাংশ। ১ কোটি টাকার উপর কোনও মূল্য হলে আর এক শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। গত বছর জুলাই মাসে এই ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে গ্রামীণ এলাকায় ৩ শতাংশ এবং শহর এলাকায় ৪ শতাংশ স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়। উপকৃত হন জমি, বাড়ি, ফ্লাটের ক্রেতা ও বিক্রেতারা। কিন্তু সার্ভার ডাউন থাকায় এবং টেকনিকাল কারণে এই মাসের ২০-২২ তারিখের আগে নতুন পদ্ধতিতে কাজ শুরু করা যায়নি।
আগস্ট মাস থেকে পুরোদমে ফ্ল্যাট ও জমি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে নতুন নিয়মে কেনাবেচা করে সাধারণ মানুষ। রাজ্যের আয়ের পরিমাণ বেড়ে যায় অনেকটা। আগস্ট মাসে আয় হয় ৭৪৫ কোটি টাকা। যেখানে ২০১৯ সালে হয়েছিল ৫৩২ কোটি টাকা। ২০২০ সালে সেই আয় করোনার কারণে কমে দাঁড়ায় ৩৪৬ কোটি টাকা। এই আর্থিক বছরের সেপ্টেম্বরে আয় হয় ৭৪২ কোটি টাকা। সেখানে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আয় হয় ৫১২ কোটি টাকা, আর ২০২০ সালে আয় হয় ৪৭১ কোটি টাকা।
এখন দেখার নবান্ন এই ছাড়ের সময়সীমা আর বাড়ায় কিনা। গৃহ নির্মাণ সংস্থাগুলির সর্ববৃহৎ সমিতির কনফেডারেশন অব রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (ক্রেডাই) ছাড়ের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ করার দাবি জানিয়েছে।