গোয়ায় তৃণমূলের ইস্তেহারে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি
ক্ষমতায় এলে গোয়ায় মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে তৃণমূল কংগ্রেস৷ গোয়া বিধানসভা ভোটের ইস্তেহার সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷ শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা লুইজিনহো ফেলেইরো ঘোষণা করেন, ‘বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে স্থানীয় প্রশাসনে পঞ্চাশ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। যা দেশের মধ্যে নজির সৃষ্টি করবে।
ফেলেইরোর অভিযোগ, বিজেপির নেতৃ্ত্বাধীন সরকারে গোয়া অপরাধ ও পতিতাবৃত্তির রাজধানী হয়ে উঠেছে। ফেলেইরোর কথায়, ‘‘গোয়া শান্তির পীঠস্থান ছিল। সেই গোয়া এখন অপরাধ ও পতিতাবৃত্তির রাজধানী হয়ে উঠেছে। বিজেপি সরকার আমাদের এমন পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছে যা গোয়া কখনো দেখেনি।’’
সাগরতীরের রাজ্যকে ঢেলে সাজানোর প্রতিশ্রুতি দিল গোয়া তৃণমূল কংগ্রেস৷ একই সঙ্গে মৎসজীবী থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকের ঘরে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে৷ শনিবার গোয়া তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব আসন্ন ভোটের প্রার্থীদের নিয়ে দশ দফা প্রতিস্তুতি পত্র আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে৷ সেই অনুষ্ঠানে লুইজিনহো ফলেইরো, সাংসদ মহুয়া মৈত্র-সহ তৃণমূল প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন৷
গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোকে চেয়ারপার্সন করে ১২ সদস্যের ইস্তাহার কমিটি গড়ে তৃণমূল কংগ্রেস।ইস্তেহার কমিটিতে রাজেন্দ্র কাকোদকর, যতীশ নায়েক, অভীতা বন্দোদকর, জয়েশ শ্বেতগাঁওকরের মতো গোয়া তৃণমূলের পরিচিত নেতারা ছিলেন৷ তাঁদের পরামর্শে মহিলা সংরক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ইস্তাহারে স্থান পাওয়ার পাশাপাশি বিনামূল্যে, স্বাস্থ্যে ও চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে৷ পর্যটন শিল্পকে ঢেলে সাজানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে৷ মৎসজীবীদের নানান সুযোগ-সুবিধার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে৷ সব মিলিয়ে মোট ১০ দফা প্রতিশ্রুতি জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ উল্লেখ্য, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়া বিধানসভার ৪০ আসনের সবগুলিতেই ভোট। গণনা আগামী ১০ মার্চ।