গেরুয়া শিবিরে কোন্দল অব্যাহত, রামপুরে বৈঠক বিক্ষুব্ধ নেতাদের
বিজেপিতে কোন্দল অব্যাহত। জেলা কমিটি ঘোষণার পর বিষ্ণুপুরে বিজেপি কার্যত আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটিতে ঠাঁই না পাওয়া পুরনো নেতা-কর্মীরা শনিবার সোনামুখীর রামপুরে একত্রিত হন। স্থানীয় একটি খোলা মাঠে তাঁরা বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। ঘোষিত নতুন কমিটি গঠনে স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলেন। এনিয়ে তাঁরা দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে দরবার করার সিদ্ধান্ত নেন। পুরভোটের আগে এই কোন্দলে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। আসন্ন ভোটে বিজেপির পক্ষে শাসকদলের বিরুদ্ধে লড়াই দেওয়া কার্যত অসম্ভব বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সহ সভাপতি কানাই ঘোষ বলেন, নতুন জেলা কমিটিতে ব্যাপকভাবে স্বজনপোষণ করা হয়েছে। আগামী দিনে মণ্ডল কমিটিতেও একইভাবে স্বজনপোষণ হওয়ার আশঙ্কা করছি। তাই এদিন পুরনো কর্মীরা একত্রিত হয়ে এর প্রতিবাদ জানান। কমিটি বদলের জন্য শীর্ষস্তরে আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই মন্তব্য করেছেন দলের অন্যান্য পুরনো নেতারা।
বিক্ষুব্ধ নেতাদের একাংশের বক্তব্য, সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা ভালো না থাকা সত্ত্বেও দলের কয়েকজন নেতার কাছের লোক হওয়ায় অনেককেই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের একটা বড় অংশকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এভাবে চললে দলের ক্ষতি হবে। আগামী পুরসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে ভালো ফল করা অসম্ভব হয়ে উঠবে। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্বেশ্বর সিংহ বলেন, পুরনো ও নতুনদের মিলিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কাছের-দূরের কোনও ব্যাপার নেই। রামপুরে বৈঠকের বিষয়ে কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটি গঠন হয়। তাতে সভাপতি সহ মোট ২৩জন সদস্য রয়েছে। কিন্তু, ওই কমিটিতে সাংগঠনিক দক্ষতা সম্পন্ন অনেক নেতা বাদ পড়েছেন। যোগ্য পুরনো নেতা-নেত্রীদের ঠাঁই না দিয়ে নতুন মুখ আনা হয়েছে। এনিয়ে গত কদিন ধরে বিক্ষুব্ধ নেতা-নেত্রীদের মনে চাপা অসন্তোষ চলছিল। এদিন তাঁরা সোনামুখীর রামপুরে একত্রিত হয়ে প্রকাশ্যে বৈঠক করেন। সেখানে সাংগঠনিক জেলার বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, ইন্দাস, ওন্দা, বড়জোড়া ও সোনামুখী বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার বিক্ষুব্ধ নেতারা উপস্থিত হন। তাঁরা প্রত্যেকেই নতুন কমিটি গঠনে স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলেন। তাঁদের একাংশ কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে। এই মুহূর্তে