প্রথমবার গান্ধীজির মৃত্যুদিনে ‘বলিদান দিবস’ পালন করল বঙ্গ বিজেপি, কটাক্ষ তথাগতর
মনীষীদের জন্মদিন-মৃত্যুদিন ঘিরে রাজনীতির রং লেগেছিল আগেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা উত্তরোত্তর বাড়ছে। এবার মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) মৃত্যুদিন ঘিরেও উসকে উঠল সেই বিতর্ক। এবারই প্রথমবার গান্ধীজির মৃত্যুদিনকে ‘বলিদান দিবস’ পালন করল রাজ্য বিজেপি। রবিবার রাজ্য বিজেপির (BJP) সদর দপ্তরে ‘জাতির জনকে’র ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন রাহুল সিনহা-সহ রাজ্যস্তরের অন্যান্য নেতারাও।
এবছর গান্ধীজির মৃত্যুদিবস ঘিরে বিজেপি রাজ্য দপ্তরে এহেন কর্মসূচি রীতিমতো ব্যতিক্রমী। তা নিয়ে নানা গুঞ্জন-ফিসফাসও শুরু হয়ে গিয়েছে। দলের বিক্ষুব্ধরা শীর্ষ নেতৃত্বের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তথাগত রায়ের মতো বর্ষীয়ান নেতারা। সাধারণত দলের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুদিনে এই ‘বলিদান’ বা ‘শহিদ দিবস’ পালন করে থাকে বিজেপি। কিন্তু গান্ধীর মৃত্যুতে কেন? এই প্রশ্ন উঠছে স্বাভাবিকভাবেই।
বিজেপির সদর কার্যালয়ে দিনটি ভালভাবে পালিত হলেও বলিদান দিবস পালনে গিয়ে বাধা পেলেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন পুরভোটের প্রচারে হুগলিতে ছিলেন তিনি। মানকুণ্ডুর কাছে সকালবেলা চা-চক্রে যোগদানের পর পুরভোটের প্রচারে বেরন। এরপর মিল কোয়ার্টার এলাকায় দলীয় সমর্থকদের নিয়ে গান্ধীজির ছবিতে মাল্যদানের কর্মসূচিতে যোগ দিতেই পুলিশের বাধার মুখে। পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় দিলীপ ঘোষের। পুলিশের অভিযোগ, কোভিড বিধি মেনে কোথাও ৫ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। কিন্তু গান্ধীজির মৃত্যুদিনের অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বহু সমর্থক ছিলেন, অর্থাৎ বিধিভঙ্গ হয়েছে। পালটা দিলীপের জবাব, পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই বিজেপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। তৃণমূলও এ ধরনের অনুষ্ঠান করে, কিন্তু তাতে বাধা দেওয়া হয় না।
এরপর দিলীপ ঘোষ চলে যান বর্ধমানে। সেখানে গান্ধীজির প্রয়াণ দিবসে বিজেপির প্রথমবার ‘বলিদান দিবস’ পালন নিয়ে তিনি বলেন, ”বিরোধীরা জানে না। শ্রদ্ধা প্রতিবারই জানাই। আমরা প্রকাশ্যে এটা করেছি, বুথ স্তরে করেছি। ১৫০ বছর উপলক্ষে আমরা গান্ধী সংকল্প যাত্রা করেছি। তখন কোথায় ছিলেন বিরোধীরা? ওঁরা ভেবেছিলেন, গান্ধীজি ওঁদের কেনা, কেউ ভাবছে নেতাজি ওঁদের কেনা হয়ে গিয়েছে। এই নামে অনেকে দোকান চালিয়েছেন। ওইসব দোকান আমরা বন্ধ করে দেব।”