স্কুল খুলুক, মত মমতার পরামর্শদাতা গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ডের
রাজ্যে দ্রুত খুলুক স্কুল। চায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শদাতা গ্লোবাল অ্যাডভাইসারি বোর্ড। বোর্ডের পরামর্শদাতা প্রবীণ ফিজিশিয়ান ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায় এমনই পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যকে। বোর্ডও মনে করে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে ধাপে ধাপে খুলে দেওয়া উচিত রাজ্যের স্কুলগুলি। ততদিন ১৫-১৭ বছরের টিকাকরণ যত বেশি হয়ে যায়, ততই ভালো। পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যাঁরা স্কুল আসা-যাওয়া করবেন বা বাড়িতে থাকবেন, সেই বয়স্কদের টিকাকরণ এই সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করার পরামর্শ দিয়েছে বোর্ড। শনিবার সুকুমারবাবু বলেন, আমি স্কুল খোলার পক্ষপাতী। ওদের অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। তাছাড়া ড্রপআউট বাড়ছে। বহু ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। বহু ছাত্র অভাবে শিশুশ্রমিক হয়ে যাচ্ছে। বাড়ি থেকে ওইভাবে স্কুলের পড়াশোনা করা সম্ভবও নয়। উচিতও নয়।
সূত্রের খবর, শনিবার দিনভর স্কুল খোলা নিয়ে বিভিন্ন মহলের পরামর্শ নিয়েছে রাজ্যের শীর্ষমহল। স্বাস্থ্যভবনের কর্তারাও এই নিয়ে আলোচনা করেছেন। স্কুল খোলার বিষয়ে সিংহভাগই সহমত হলেও, সরকারকে ভাবাচ্ছে গত বছর নভেম্বরের ঘটনা। সেবার সাহস করে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু করে দিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু শুরু হতে না হতেই মাত্র দু’মাসের মধ্যে জানুয়ারিতে হু হু করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। ফের ছেদ পড়ে স্কুল-কলেজ নির্ভর পড়াশোনায়। এবারও যাতে তার পুনরাবত্তি না হয়, সেজন্য আটঘাট বেঁধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষপাতী তারা।
এদিন প্রবীণ ফিজিশিয়ান ডাঃ মুখোপাধ্যায় বলেন, দেখুন, ছোট বাচ্চাদের কোভিড হলে সিংহভাগ ক্ষেত্রেই বাড়াবাড়ি হয় না। তাই কবে ১২-১৫ বা তারও নীচের বাচ্চাদের টিকাকরণ হবে, তার জন্য বসে থাকার মানে হয় না। তাছাড়া ওমিক্রন অত্যন্ত মৃদু উপসর্গের। সারা পৃথিবীতে এখন স্কুল খুলছে। এখানেও খোলা উচিত। বোর্ড সূত্রের খবর, ঝোঁক বা আবেগের বশে নয়, বিজ্ঞানসম্মত চিন্তার জায়গা থেকেই স্কুল খোলা উচিত। দুটো বিষয় জোর দিতে হবে। টিকা নিয়ে মৃত্যুহার কতটা কমেছে এবং মাস্ক পরায় করোনা সংক্রমণ কতটা আটকানো গিয়েছে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ১৫-১৭ কিশোর-কিশোরীদের টিকাদান আরও এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি বয়স্কদের এবং শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের সম্পূর্ণ টিকাকরণ সুনিশ্চিত করে এবং স্কুলগুলিতে ঠিকমতো স্যানিটাইজেশন করে ধাপে ধাপে স্কুল খোলারই পক্ষপাতী তারা।