উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

কোভিড মুক্ত হতেই পুর-প্রচারে ঝাঁপালেন গৌতম

January 30, 2022 | 2 min read

কোভিড মুক্ত হয়ে ফের শিলিগুড়ি পুরসভার ভোটের ময়দানে নামলেন প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীও। যোগদান সভা থেকে জনসংযোগ যাত্রা, পাড়া বৈঠক থেকে কর্মিসভা করছেন তিনি। বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে বৈঠক করে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন। ভোট চাওয়ার পাশাপাশি তিনি সকলকে কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁর এই লড়াইয়ে উজ্জীবিত হয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও। সকলেরই বক্তব্য, এবার গৌতমবাবুর নেতৃত্বে এককভাবে পুরসভার বোর্ড গঠন করবে তৃণমূল। 

গত ১৭ জানুয়ারি কোভিড পজিটিভ হন গৌতম দেব। তারপর চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো তিনি শিলিগুড়িতে একটি নার্সিংহোমে তিনদিন ভর্তিও ছিলেন। কিছুটা সুস্থ হওয়া পর কলেজ পাড়ায় নিজের বাড়িতে ফেরেন তিনি। টানা প্রায় ১০দিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। সেখান থেকেই ফেসবুক লাইভ, ফোনকল ও হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। শুক্রবার তাঁর কোভিড  রিপোর্ট  নেগেটিভ হয়। ওই দিনই তিনি দলের একটি যোগদান শিবিরে শামিল হন। 

এদিন দিনভর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে জনসংযোগ যাত্রা করেন। মাস্ক পড়ে জোর হাত করে ওয়ার্ডের ২৫৪ ও ২৫৫ বুথে নাগরিকদের কাছে যান। ভোট চাওয়ার পাশাপাশি, সকলকে কোভিড বিধি মেনে  চলার পরামর্শ দেন। শুধু নিজের নির্বাচনী এলাকা নয়, তিনি অন্যান্য ওয়ার্ডেও দলীয় প্রার্থীদের জন্য প্রচার সারেন। এদিন বিকেলে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে একটি যোগদান শিবিরে শামিল হন। দলীয় কর্মীদের নিয়ে ছোট বৈঠক ও পদযাত্রা করেন। ফের সন্ধ্যায় ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে দু’টি ক্লাবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কারণ, এই ভোটে ক্লাবগুলির ভূমিকা যথেস্ট তাৎপর্যপূর্ণ। 

পরে গৌতমবাবু বলেন, কোভিড পজিটিভ হয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বেশ কিছুদিন বাড়িতে ছিলাম। সুস্থ হতেই ময়দানে নেমেছি। এখন নাগরিকদের কাছে গিয়ে জোর হাত করে আশীর্বাদ চাইছি। নাগরিকদের কাছ থেকে সারাও পাচ্ছি। কাজেই, এবার পুরসভায় এককভাব বোর্ড গঠনের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ আশাবাদী। 

গত বছরও কোভিড সংক্রামিত হয়েছিলেন গৌতমবাবু। তাঁর কোমর্বিডিটিও রয়েছে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো তিনি কোভিড মোকাবিলায় প্রথম দু’টি ডোজ নিয়েছেন। কয়েকদিন আগে বুস্টার ডোজও নিয়েছেন। তারপরও তিনি দ্বিতীয়বার কোভিড সংক্রামিত হন। এবারও কোভিড মুক্ত হয়ে হার মানিয়ে নিজের ময়দানে ফিরেছেন। তৃণমূলের একাংশ বলেন, এই শহরে পুরভোটের ময়দানে নেতৃত্ব প্রদানকারীদের মধ্যে গৌতমবাবু অন্যতম। তিনি যেন দলের ক্যাপ্টেন। মাঝে কয়েকদিন তিনি ময়দানে না থাকায় কেমন যেন অগোছাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তিনি আবার ময়দানে নামায় দলে অন্যরকম মাত্রা যোগ করেছে। কাজেই, তাঁর লড়াই সকলের কাছে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে।  এবার শিলিগুড়ি পুরসভায় তৃণমূলকে কোনও দলই রুখতে পারবে না বলে তাঁদের বিশ্বাস।এই মুহূর্তে

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#siliguri municipal corporation, #goutam deb

আরো দেখুন