শোভনকে এখনও মিস করেন ‘বন্ধু’ ফিরহাদ, শুভেন্দুর জন্যেও হয় আফসোস
একুশের নির্বাচনের আগে বহু তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শিবির বদল করেছিলেন। অনেকে আবার ফলাফলের পর ভুল বুঝতে পেরে ফিরে এসেছেন। আবার কেউ কেউ এখনও ফিরতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে প্রাক্তনকে মিস করছেন বর্তমান। সেই গোপন কথাই এবার উঠে এলো মেয়র ফিরহাদ হাকিমের গলায়। শনিবার রাতে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘শোভন আমার অনেক পুরনো বন্ধু। একসঙ্গে অনেক আন্দোলন করেছি। ওকে এখন ‘মিস’ করি।’
তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মেয়র পদ থেকে বিধায়ক—সবকিছু ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। জীবনে চলার পথে বৈশাখী ঝড় আশায় নিজের স্ত্রী–সন্তানদেরও ত্যাগ করেছেন তিনি। তাহলে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরবেন কী করে? এই বিষয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘আমি চাই, পুরনো যাঁরা সেই প্রথমদিন থেকে মমতা দি’র সঙ্গে পথচলা শুরু করেছিলাম, তাঁরা একসঙ্গে থাকব। হঠাৎ করে যে ও চলে যাবে তা ভাবিনি।’
শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফিরিয়ে আনতে আগে ফোনও করেছিলেন ফিরহাদ। কিন্তু ফিরতে পারেননি দিদির কানন। একবার ভাইফোঁটা নিতে হাজির হয়েছিলেন। তখন অবশ্য মনে করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে পারেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তা ঘটেনি। এই নিয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যখন জাহাজ ডুবতে থাকে তখন ইঁদুরেরা লাফ দিতে শুরু করে। কিন্তু ইঁদুররা গিয়ে পড়ে সমুদ্রে। সেখানে নিশ্চিত মৃত্যু। আমি মনে করি, দলবদলে খুব বেশি সম্মান থাকে না। একটা দলে থাকলে যে সম্মান, দল থেকে পালিয়ে গেলে সেই সম্মানটা থাকে না।’
উল্লেখ্য, মুকুল রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্তরা বিজেপিতে গিয়েছিলেন। ফলাফল প্রকাশের পর ফিরে আসেন তাঁরা। শোভম–শুভেন্দু ফিরতে পারেননি। ভবিষ্যতে শুভেন্দু কী ফিরবেন? জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘গেল কেন তা নিয়ে আমার নিজেরও প্রশ্ন আছে। গিয়ে কী পেল? গান্ধীবাদ ছেড়ে গডসেবাদ করা যায় না। তাতে মানুষের কাছে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতাই নষ্ট হয়।’