তৃণমূলের আগামী প্রজন্মের নেতৃত্বে অভিষেকই, বার্তা ফিরহাদের
একুশের নির্বাচনে ভূমিধস সাফল্য, উপনির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য এবং কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে দুরন্ত জয় তৃণমূল কংগ্রেসকে পৃথক স্তরে উন্নীত করেছে। এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার নেতা হিসাবে উঠে এসেছেন। এখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এবার পাখির চোখ দলের জাতীয় স্তরে উত্তরণ। এই পরিস্থিতিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। যাতে অংশগ্রহণ করেছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে জল অনেকদূর গড়িয়েছিল। এবার ফিরহাদ হাকিম (ববি) জানালেন, পরের প্রজন্মের মুখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
ঠিক কী বলেছেন ফিরহাদ? এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে তিনি বলেন, ‘একটা সময় ছিল, যখন ভাল গালাগালি দিতে পারলেই কংগ্রেসের কাউন্সিলর হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যেত। এখন যাঁরা আমাদের কাউন্সিলর, তাঁদের মধ্যে কমবয়সি অনেক ছেলেমেয়ে আছেন, যাঁরা উচ্চশিক্ষিত। দলের এই উচ্চশিক্ষিত কমবয়সি ব্রিগেডের নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাদি নিজেও এটা নিয়ে খুব উৎসাহী। পরের প্রজন্ম তৈরি করতেই হবে। পরের প্রজন্ম না তৈরি করতে পেরে সিপিআইএমের কী অবস্থা হয়েছে, সেটা তো দেখেছি। মমতাদি নিজের জীবনটা পুরোটাই দিয়ে দিয়েছেন। সেই নীতি আদর্শকে পাথেয় করে আগামী দিনেও চলব। তাই চাই পরের প্রজন্ম আসুক।’
সম্প্রতি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কাউকে নেতা হিসাবে মানি না। বিতর্ক থামাতে অভিষেককে বলতে হয়েছিল, কল্যাণ ঠিকই বলেছেন। আমার নেত্রীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে এবার ফিরহাদ বলেন, ‘অভিষেক তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দলটিকে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক করে তুলতে অভিষেক চেষ্টাও করছে। আমি ত্রিপুরায় গিয়ে দেখেছি, ওখানে আমাদের সংগঠন বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ও দলের বিস্তার ঘটাতে পারে।’
কিন্তু এই নিয়ে যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল তা এখনও আছে? জবাবে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমাদের দলে কোনও মতবিরোধ নেই। যা রটছে সবই মশলা খবর। অভিষেক থেকে আমি—সকলেই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। উনি আমাদের যা দায়িত্ব দেবেন, সেটাই আমরা সবাই মিলে পালন করব।’ সুতরাং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে আগামী দিনের নেতৃত্ব তা কার্যত বাতলে দিলেন ফিরহাদ। অবশ্যই এটা অনেকের কাছে বার্তা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।