জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে ১৫ নতুন চিকিৎসক নিয়োগ, চালু হল আউটডোর
জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চালু করতে বেশ কয়েকমাস ধরেই চলছে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড। জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামোর মধ্যেই যাতে সাময়িক ভাবে মেডিক্যালের পড়ুয়ারা প্রথমবর্ষের পড়াশোনা শুরু করতে পারে তারজন্য চলছে জোর প্রস্তুতি। চলছে বিভিন্ন ধরনের প্র্যাকটিক্যালের জন্য ল্যাব ও দু’টি লেকচার থিয়েটার তৈরির কাজ। এই অবস্থায় সেই সমস্ত কাজের গতি আরও কয়েকগুণ বাড়াতে সোমবার পূর্তদপ্তরের ইলেক্ট্রিক্যাল ও সিভিল বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে সদ্য দায়িত্ব পাওয়া মেডিক্যালের সুপার ডাঃ কল্যাণ খান, জনস্বাস্থ্য বিভাগের উত্তরবঙ্গের ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায়, জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ গয়ারাম নস্কর সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বৈঠক করেন। বৈঠকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয় যত দ্রুত সম্ভব বিভিন্ন সিভিল ও ইলেক্ট্রিক্যাল কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলতে হবে। বৈঠক শেষে ওএসডি বলেন, খুব শীঘ্রই জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে দিল্লি থেকে আসবে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের একটি টিম। ওই টিমের সদস্যরা পরিদর্শনের সময় মেডিক্যাল কলেজ তৈরির বিভিন্ন মাপকাঠি বিবেচনা করবেন। যার ভিত্তিতে মেডিক্যাল কলেজ শুরুর অনুমোদন মিলবে। তাই এখনও যেসব কাজ বাকি আছে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সেই কাজ শেষ করার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে সোমবার থেকেই জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামোর মধ্যেই সাময়িক ভাবে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের আউটডোর চালু হল। বিভিন্ন ওয়ার্ডে এ জন্য লাগানো হচ্ছে চিহ্নিতকরণের বোর্ড। যার মাধ্যমে বোঝা যাবে কোনটা কোন ওয়ার্ড। ওএসডি বলেন, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্ডোর ব্যবস্থাও আমরা খুব শীঘ্রই শুরু করতে চলেছি। মেডিক্যালের জন্য এদিনই স্বাস্থ্য ভবন থেকে ১৫ জন নতুন চিকিৎসক, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, প্রফেসর নিযুক্ত করার অর্ডার হয়েছে। তাই আমরা খুব আশাবাদী যে দ্রুত কলেজ চালু হবে। সবকিছু যে গতিতে এগচ্ছে, তাতে আগামী শিক্ষাবর্ষে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের জন্য এখানে পড়াশোনা করার মতো পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যাবে।
এদিকে মেডিক্যাল কলেজ পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য থেকে প্রিন্সিপাল ও সুপার পদে নিযুক্তির প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জেলা হাসপাতালের মধ্যেই অন্তত দু’টি লেকচার থিয়েটার সহ অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, ব্লাড প্রেসার, ব্লাড সুগারের মতো নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছে ল্যাব। এ ধরনের ল্যাব কাজে আসবে প্রথমবর্ষে ভর্তি হওয়া মেডিক্যাল পড়ুয়াদের।