রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য ও দারিদ্র দূরীকরণে বিজেপি শাসিত রাজ্যের থেকে এগিয়ে মমতার বাংলা

February 1, 2022 | 2 min read

কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, দারিদ্র দূরীকরণ। বহু ডবল ইঞ্জিন রাজ্যের তুলনায় এগিয়ে বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রচার নয়, আজ বাজেটের প্রাক্কালে সোমবার সংসদে পেশ হওয়া আর্থিক সমীক্ষার পরিসংখ্যানেই ফুটে উঠল এই চিত্র। সদ্যোজাত শিশুমৃত্যুর হারে উন্নত রাজ্য গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। আবার কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও কর্ণাটকের মতো আর্থিকভাবে উন্নত ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বাংলা।

কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ একটি মাপকাঠি তৈরি করে দারিদ্র দূরীকরণের কর্মসূচি নিয়েছিল কয়েক বছর আগে। ‘মাল্টিডাই঩মেনশনাল পভার্টি’ শীর্ষক ওই দারিদ্র চিহ্নিতকরণ সংক্রান্ত তালিকায় দেখা গিয়েছে, বিহার, মধ্যপ্রদেশ,অসম, উত্তরপ্রদেশে দারিদ্র বেশি। তালিকায় বাংলা নেই। কন্যাসন্তানের জন্মহারেও বাংলা এগিয়ে। জন্মহারের ক্ষেত্রে পুত্র ও কন্যার অনুপাতের হারেও ডবল ইঞ্জিন সরকার অনেকটাই পিছিয়ে। আর্থিক সমীক্ষায় সবথেকে বেশি বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে ১০০ দিনের কাজের হিসেব নিয়ে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ুর মতো উন্নত রাজ্যগুলিতে গ্রামাঞ্চলে ২০২১ সালেও ১০০ দিনের কাজের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। অর্থাৎ সেখানে স্বাভাবিক হয়নি অর্থনীতি। পক্ষান্তরে পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিকের অন্যতম যোগানদার হওয়া সত্ত্বেও এই রাজ্যে ২০২১ সালে ১০০ দিনের কাজের চাহিদা ছিল তুলনামূলকভাবে কম। অর্থাৎ এ রাজ্যে অন্য জীবিকার সন্ধান বেশি করে পেয়েছে ২০২১ সালে। তাই ১০০ দিনের কাজের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়নি। এই হিসেব কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রককেও যথেষ্ট বিস্মিত করেছে। অর্থমন্ত্রক সেকথা সোমবার জানিয়েছে।

এদিকে সোমবার পেশ হওয়া আর্থিক সমীক্ষায় অর্থমন্ত্রক আলোর আভাস দিয়েছে অর্থনীতির ক্ষেত্রে। আশা প্রকাশ করা হয়েছে, জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে ৮ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ। করোনার কারণে আর অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে না বলেই আশা প্রকাশ করা হয়েছে। আর্থিক সমীক্ষায় স্পষ্টভাবেই বিলগ্নিকরণের জয়গান করা রয়েছে। আগামী আর্থিক বছরের বিলগ্নিকরণ কর্মসূচির আভাস যে আজ বাজেটেও পাওয়া যাবে সেরকমই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। আর্থিক সমীক্ষায় অন্যতম উদ্বেগের স্থান হল, শিক্ষায় সঙ্কট। বলা হয়েছে, লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া বেসরকারি বিদ্যালয় ছেড়ে সরকারি স্কুলে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। কারণ অর্থাভাব ও বেসরকারি বহু স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়া।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Poverty, #Health, #West Bengal, #employment

আরো দেখুন