রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বৃহস্পতিবারই ১০৮টি পুরসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন

February 2, 2022 | 2 min read

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারিই রয়েছে ১০৮ পুরসভার ভোট। তার আগে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি আসানসোল, শিলিগুড়ি, বিধাননগর ও চন্দননগরের পুর ভোট। ১০৮ পুরসভার ভোটকে সামনে রেখে বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ডাকা সর্বদল বৈঠকে ভিন্ন ভিন্ন দাবি জানাল তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস। তবে একটি দাবিতে সব রাজনৈতিক দলই একমত। সেটা হল নির্বাচনী প্রচারের সময়সীমা বাড়ানো। অন্য দিকে, বিজেপি করোনা পরিস্থিতিতে ভোট পিছনোর দাবি করেছে। যদিও বৃহস্পতিবারই ওই পুরসভাগুলির ভোটের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক ও এসপি-র সঙ্গে বৈঠকেও বসতে পারে কমিশন।

কমিশনের ডাকা সর্বদল বৈঠকে তৃণমূলের তরফে অংশ নেন দেবাশিস কুমার, তাপস রায়। তাঁরা ভোটে প্রচারের সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন বলে খবর। রাত ৮টা নয়, তৃণমূলের দাবি, আরও একঘণ্টা বাড়িয়ে রাত ৯টা করা হোক প্রচারের সময়সীমা। পাশাপাশি, কমিশন যে ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন, তারও বিরোধিতা করেছে রাজ্যের শাসক দল। এ দিকে কমিশনের ডাকা সর্বদল বৈঠকেও বিজেপি ভোট পিছনোর পক্ষেই সওয়াল করেছে। শিশির বাজোরিয়া, অগ্নিমিত্রা পাল তুলে ধরেন কোভিড পরিস্থিতির কথা। একই দাবি করেন কংগ্রেসের আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, অসিত মিত্র-ও। বিজেপি-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরভোটের দাবি করেছিল, সেটিও কার্যত খারিজ হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যের পুলিশ দিয়েই পুরভোট করার কথা জানিয়েছে কমিশন।

এ দিকে বৈঠকে বামেরা জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ, অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যা যা পদক্ষেপ করা উচিত, তা যেন করে কমিশন। পাশাপাশি দু’টি পুরভোটের গণনা এক সঙ্গে করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। ১২ ফেব্রুয়ারির চার পুরভোটের গণনার দিন ঠিক হয়েছে ১৪ তারিখ। বিরোধীদের দাবি, ২৭ ফেব্রুয়ারির পুরভোটের পর এক সঙ্গেই ফল ঘোষণা হোক। তাদের যুক্তি, বিধানসভা ভোটে সাত দফায় ভোট হলেও ফল ঘোষণা হয়েছে একইদিনে। পুরভোটে তার অন্যথা হবে কেন?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#State Election Commission, #Municipal polls, #West Bengal

আরো দেখুন