ফের বঞ্চনা, বাংলার রেল প্রকল্পে কোথাও মাত্র হাজার টাকা, কোথাও শূন্য
কোনও প্রকল্পে বরাদ্দ এক হাজার টাকা। কোথাও শূন্য। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় পর্যদুস্ত হয়েছে বিজেপি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যারিশমায় ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। তারই কি ‘প্রভাব পড়ল’ বাংলার একাধিক রেল প্রকল্পের বরাদ্দে? রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করা একাধিক রেল প্রকল্প তো বটেই, রাজ্যের অন্যান্য প্রজেক্টেও ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে নগণ্য বরাদ্দের পথে হেঁটেছে মন্ত্রক। বুধবার রাতে প্রকাশিত হয়েছে রেলের জোনওয়াড়ি বিভিন্ন প্রকল্পে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেট বরাদ্দ সংক্রান্ত ‘পিঙ্ক বুক’। সেখানেই স্পষ্ট হয়েছে রেলের একাধিক প্রকল্পে বাংলাকে বঞ্চনার ছবি।
লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা নতুন লাইন তৈরির প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ এক হাজার টাকা। তারকেশ্বর-মগরা নতুন লাইন তৈরির ক্ষেত্রে বরাদ্দ হয়েছে একই অঙ্ক। নিউ আলিপুর-আক্রা ও বজবজ-পুজালি অংশের ডাবলিংয়ে বরাদ্দের পরিমাণও এক। কালীনারায়ণপুর-কৃষ্ণনগর ডাবলিংয়ে বরাদ্দই হয়নি। সাঁইথিয়া-তারাপীঠ, পলাশী-জিয়াগঞ্জ, লালগোলা-জিয়াগঞ্জ ডাবলিংয়েও মেলেনি বরাদ্দ। তমলুক-দীঘা নতুন লাইন তৈরিতে বরাদ্দের পরিমাণও সেই ধরতক্তা হাজার টাকা। আন্দুল-বালিটিকুরি ডাবলিং প্রজেক্টে কোনও বরাদ্দই মেলেনি। তবে বালুরঘাট-হিলি এবং ভাগীরথী নদীর উপর সেতু সহ আজিমগঞ্জ থেকে মুর্শিদাবাদ (জিয়াগঞ্জ) নতুন লাইন তৈরির প্রকল্পে বরাদ্দ কিছুটা বেড়েছে। রেলের বহু ওয়ার্কশপ এবং প্রোডাকশন ইউনিটেও বরাদ্দের পরিমাণ নামমাত্র। কাঁচরাপাড়া রেল কোচ ইউনিট পেয়েছে হাজার টাকা, জামালপুর ওয়ার্কশপের জন্য বরাদ্দ এক লক্ষ। বঞ্চনার ছবি স্পষ্ট হলেও রেলের যুক্তি, রেকর্ড বরাদ্দ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রকল্পগুলিতে। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালে গড়ে বাংলার রেল প্রকল্পে ৪ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ হতো। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ, বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ১৩৪ শতাংশ।