সরকার গ্যারান্টি দিচ্ছে, ছাত্রদের ঋণ দিতেই হবে ব্যাঙ্ককে: মমতা
রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আইএএস, আইপিএসদের নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। আমলাদের সঙ্গে উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিজের দপ্তরের কাজের খেয়াল রাখতে হবে। শুধু পয়সা দিলাম আর মেলা করালাম, সেটা হলে চলবে না। উপর তলার অফিসাররা নিচের তলায় রিপোর্ট দেয়, কাজ হয়ে গেছে। উপর তলার অফিসাররা নিচের তলায় কাজ ঠেলে দেন। এটা চরম অবহেলার পরিচয়, এমনটা করা চলবে না। সরকারি কাজে গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘৭২ শতাংশ মানুষকে আমরা করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছি। মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় সমাধানের কাজ শুরু হয়েছে। ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। ৪ কোটি টাকার বেশি অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি অসহযোগিতা করছে। কোনও ব্যাঙ্ক না দিলে, সমবায় ব্যাঙ্ক ঋণ দেবে। যে সমবায় ব্যাঙ্ক ঋণ দিচ্ছে না, তার কাছে জবাব চাওয়া হোক। ব্যাঙ্ক যে দয়া করছে না, সেটা বুঝিয়ে দিতে হবে। সরকার গ্যারান্টি দিচ্ছে, ছাত্রদের ঋণ দিতেই হবে। রাজ্যে রাজস্ব আদায় কোভিড আবহে কমেছে। কেন্দ্রের কাছ থেকে এখনও ৯০ হাজার কোটি টাকা রাজ্য পায়। বাজেট বহির্ভূত খরচ যেন না হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পই চলবে, নতুন প্রকল্প শুরু করা যাবে না।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মানুষের সব অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। কাজের নিরিখে পূর্ব বর্ধমান, বীরভূমের মত কিছু জেলা পিছিয়ে। পঞ্চায়েত দপ্তরের কাজে আরও জোর দিতে হবে। ১০০ দিনের কাজে আরও জোর দিতে হবে। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় কাজ দ্রুত গতিতে হচ্ছে না কেন? আলিপুরদুয়ার ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা থেকে বেশি অভিযোগ আসছে। পশ্চিম বর্ধমান সব ব্যাপারে পিছিয়ে থাকে কেন? সীমান্ত এলাকায় কেউ কেউ পয়সা তুলছে, এটা চলবে না। সীমান্ত এলাকায় গোটা দায়িত্ব পরিবহণ দপ্তরকে দেওয়া হচ্ছে। ৭ তারিখের মধ্যে পরিবহণ দপ্তর যেন পুরো দায়িত্ব নিয়ে নেয়। যা আয় হবে, তা ট্রেজারিতে জমা হবে। সরকারের প্রকল্পে কাজে লাগবে।’