এখনই কড়া ব্যবস্থা নয়, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রতকে রক্ষাকবচ হাইকোর্টের
বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তদন্ত জারি রাখতে সিবিআইকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলার শুনানি হয়। তখন বিচারপতি এই নির্দেশ দেন সিবিআইকে। একই সঙ্গে তিনি জানান, অনুব্রত মণ্ডল প্রধান অভিযুক্ত নন। তাঁর নাম এফআইআরে নেই। তবে তাঁকে বোলপুর বা দুর্গাপুরে ডেকে জিজ্ঞাসা করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আজ যেহেতু সকাল ১১টায় ডাকা হয়েছিল। এবং এখন সেই সময় অতিবাহিত হয়। তাই ফের নতুন করে যখন খুশি ডাকতে পারে সিবিআই। অনুব্রতের বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। তাঁকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।
গত ২ মে, বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন, বীরভূমের ইলামবাজারে বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর খুনের মামলায় বেশ কয়েক জন অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হন। কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ইলামবাজার পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ-সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকে। এর পর বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রতকে। শুক্রবার তাঁকে তদন্তকারীদের সামনে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু অনুব্রত জানান, তিনি অসুস্থ। তাই এখন সিবিআই দপ্তরে হাজির হতে পারবেন না।
এরপরই বুধবার গ্রেপ্তারি থেকে রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। আদালতকে তিনি জানান, তদন্তে সিবিআইকে সমস্ত রকম সহায়তা করতে রাজি। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ যেন না করা হয়।