গত এক বছরে ভ্যাকসিনের জন্য খরচ কত? নিরুত্তর মোদী সরকার
বরাদ্দ হয়েছিল ৩৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু ভ্যাকসিন বাবদ গত এক বছরে খরচ হয়েছে কত? স্পষ্ট করল না কেন্দ্র। মঙ্গলবার সংসদে পেশ হয়েছে বাজেট। তার নথিতে গত ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্রেফ কত ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে, তা জানানো হল। কিন্তু তার জন্য সরকারি কোষাগার থেকে এখনও পর্যন্ত কত টাকা খরচ হয়েছে, তা জানাল না মোদী সরকার। যদিও ভ্যাকসিনের জন্য টাকার অভাব হবে না বলে আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু মুখে সেকথা বলা হলেও এবার বাজেটে (২০২২-২৩ অর্থবর্ষে) টিকার জন্য নয়া বরাদ্দ না হওয়ায় আম জনতার মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
তারই মধ্যে ‘কোভ্যাকসিন’ হোক বা ‘কোভিশিল্ড’ দুই ভ্যাকসিনই শর্ত সাপেক্ষে খোলা বাজারে মিলবে বলে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোল জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। বাজেটেও বরাদ্দ শূন্য। তাই সাধারণের মনে প্রশ্ন, তবে কি এবার সরকার বিনা পয়সায় আর ভ্যাকসিন দেবে না? টিকা কিনে নিতে হবে?
আজ বৃহস্পতিবার কোভিড ভ্যাকসিনের সিঙ্গল ডোজের ১০০ শতাংশের রেকর্ড ছুঁতে পারে ভারত। এমনই আশা করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ১৮ ঊর্ধ্ব প্রায় ৯৫ কোটি নাগরিককে টিকা দেবে বলেই ঠিক করেছে কেন্দ্র। বুধবার পর্যন্ত টিকাকরণ তার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। একইভাবে ডবল ডোজও ইতিমধ্যেই ৭৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এগচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণও। শুরু হয়েছে প্রবীণদের বুস্টার ডোজ দেওয়াও।
এখনও পর্যন্ত ৪ কোটি ৯৭ লক্ষ কিশোরকিশোরী টিকা পেয়েছেন। সবমিলিয়ে দেওয়া হবে ৭ কোটির কিছু বেশি। গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে তাদের টিকাকরণ। প্রথম দিনই ৪২ লক্ষ বয়ঃসন্ধির নাগরিক টিকা নিয়েছেন। তাদের দেওয়া হচ্ছে সম্পূর্ণ দেশীয় টিকা ‘কোভ্যাকসিন।’ যার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে ২৮ দিনের মাথায়। তাই যারা প্রথম দিন ডোজ নিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় শুরু হয়ে গিয়েছে ৩১ জানুয়ারি। পশ্চিমবঙ্গ সহ সব রাজ্যকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ চিঠি দিয়ে তা মনে করিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, কোনওভাবেই যেন দ্বিতীয় ডোজের সময় পেরিয়ে না যায়।