চলতি বছরে ২০ হাজার টন বেশি ধান কেনার পরিকল্পনা রাজ্যের
ধান কেনার পরিমাণ এবার অনেকটাই বৃদ্ধি করতে চাইছে হাওড়া জেলা খাদ্যদপ্তর। সূত্রের খবর, এবারে জেলায় ২০ হাজার টন বেশি ধান কেনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন ব্লকে ধান কেনা শুরুও হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে জেলার ব্লকগুলিতে কৃষকদের থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু করেছে খাদ্যদপ্তর। এই বছর ১ লক্ষ ৮০ হাজার টন ধান কেনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। গত বছর এই পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। তবে এবারে বন্যায় উদয়নারায়ণপুর ও আমতা ২ নং ব্লকে ধান উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই কারণে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে একটি আশঙ্কাও তৈরি হয়েছিল। তবে খাদ্যদপ্তরের কর্তারা আশাবাদী যে, লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কোনও সমস্যা হবে না।
খাদ্যদপ্তর সূত্রে খবর, জেলার প্রায় ১২০টি জায়গা থেকে ধান কেনা হচ্ছে। এবারে ধানের সহায়ক মূল্য ১৯৪০ টাকা প্রতি কুইন্ট্যাল। এছাড়াও বহন করে নিয়ে আসার জন্য ২০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে কৃষকদের কুইন্ট্যালে মোট ১৯৬০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা কিষান মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে আসছেন, তাদের এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। যদিও কৃষকদের আভিযোগ, বহনে খরচ অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বিক্রি করার সময় প্রতি বছরের মতো এবারও তাঁদের ৫/৭ কেজি করে বেশি ধান দিতে হচ্ছে। এই ব্যাপারে হাওড়া জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রমেশ পাল জানান, কিষান মান্ডি ছাড়াও প্রাইমারি এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমেও ধান কেনা হচ্ছে। কৃষকেরা যে কোনও জায়গায় সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারেন। এদিকে, সিপিএমের কৃষকনেতা পরেশ পালের দাবি, কেরলের মতো এই রাজ্যেও ধান কেনার সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করতে হবে।