উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

বাজেটে ব্রাত্য চা শিল্প, বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ শ্রমিক থেকে বণিকমহল

February 4, 2022 | 2 min read

২০২১ এর কেন্দ্রীয় বাজেটে উত্তরবঙ্গের চা শিল্পের উন্নয়নে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু একবছর হল, এখনও সেই বরাদ্দ টাকা পৌঁছয়নি চা বাগানের উন্নয়নে। তার উপর এবছর কেন্দ্রীয় বাজেটে চা শ্রমিকদের কল্যাণে একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটে ক্ষুব্ধ চা শ্রমিক সংগঠনগুলিও।

অন্যদিকে, বন্ধ চা বাগান খোলা থেকে চা সুন্দরী প্রকল্পে শ্রমিকদের আবাস তৈরি, বন্ধ বাগানের শ্রমিকদের নিয়মিত ফাউলইয়ের টাকা দেওয়া থেকে শুরু করে শ্রমিকদের জন্য জয় জোহার প্রকল্প, রাজ্য সরকার চা শ্রমিকদের কল্যাণে একের পর এসব মানবিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাজেটে চা মহল্লার উন্নয়নে গুরুত্ব না দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই চা শ্রমিকরা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে।

চা মালিক সংগঠন টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইণ্ডিয়ার(টাই) চেয়ারম্যান চিন্ময় ধর বলেন, গত বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে উত্তরের চা শিল্পের উন্নয়নে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। জানি না সেই টাকা কোথায় আটকে। কিংবা আদৌ এসেছে কি না। আর এবছরের বাজেটে চা শিল্প নিয়ে তো কোন কথাই নেই। ফলে আমরা চরম হতাশ হয়েছি।

চা মালিক সংগঠনগুলি প্রস্তাব দিয়েছিল যে গত বছরের বাজেটে বরাদ্দ হওয়া ওই টাকায় তরাই ও ডুয়ার্সে আদিবাসী চা শ্রমিকদের জন্য একটি করে কেন্দ্রীয় হাসপাতাল ও শ্রমিকদের আবাস তৈরি করা হোক। চা মহল্লায় রাস্তাঘাঁট ও পরিস্রুত পানীয় জলেরও ব্যবস্থা করা হোক। রা঩জ্যের নির্দেশে গত সপ্তাহে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু এনিয়ে চা মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই চা মালিকরা এই প্রস্তাব দেয়।

ডুয়ার্স ব্রাঞ্চ অব ইণ্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের(ডিবিআইটিএ) সম্পাদক সঞ্জয় বাগচি বলেন, কিন্তু গত বছরের বাজেটে বরাদ্দ ১০০০ টাকায় বাগানগুলিতে এখনও তো কোন কিছু কাজ হল না। আর এ বছরের বাজেটে চা শিল্প নিয়ে তো কোন কথাই নেই।

উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে অসম-বাংলা সীমান্তে কুমারগ্রাম পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে ৩০২টি চা বাগানের সঙ্গে সরাসরি ৫ লক্ষ শ্রমিক চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। বাজেটে ১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ কমে যাওয়ায় উত্তরবঙ্গের লক্ষ লক্ষ চা শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

তৃণমূল চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি মান্না জৈন বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিজেকে চা-ওয়ালা বলে জাহির করেন। অথচ চা বাগানের শ্রমিকদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকারের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। এবারের বাজেটেই তা প্রমাণিত। আমরা বিজেপি সরকারের এই ভাঁওতাবাজি এবার শ্রমিকদের সামনে তুলে ধরব।

চা শিল্প মহলের এই হতাশা ও ক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিজেপি’র আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক বলেন, আমি এখনও বাজেট পড়িনি। বাজেট না পড়ে কোন মন্তব্য করব না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #tea, #bjp

আরো দেখুন