দলের অন্তর্কলহ সামাল দিতে সরস্বতী পুজোর উদ্যোগ বিজেপির
কোন্দল রুখতে মেলবন্ধনের বার্তা দিতে পদ্মের ভরসা এবার সরস্বতী (Saraswati Puja 2022)! দূরে সরে থাকা মনখারাপের মানুষগুলোকে কাছে টানতে বিজেপির তরফে আয়োজন করা হচ্ছে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। উপলক্ষ্য সরস্বতী পুজো। দলে পদ না পেয়ে দূরে সরে থাকা বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের পুজোর দুপুরে রাজ্য দপ্তরে খিচুড়ি খাওয়ারও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) বলেন, “সরস্বতী পুজোর দিন পার্টি অফিসে আসার জন্য সকলকেই আমরা আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।” যাঁরা মনখারাপ করে আছেন তাঁদেরও কি আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন? প্রশ্ন এড়িয়ে দিল্লি থেকে ফোনে সুকান্তর জবাব, “পার্টি সদস্য-কর্মী-সমর্থক সকলেই আসবেন।”
সম্প্রতি রাজ্য বিজেপিতে (BJP) বিদ্রোহ চরমে। নতুন রাজ্য কমিটি গঠনের পর থেকে শুরু হয়েছে ক্ষোভ-বিক্ষোভ। রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া একাধিক নেতা ক্ষুব্ধ। আবার কমিটিতে মতুয়া প্রতিনিধি না থাকায় বিদ্রোহী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। বিক্ষুব্ধ দুই নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে। এরপর জেলা কমিটি ঘোষণা নিয়েও জেলায় জেলায় ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছে। বিদ্রোহ ঠেকাতে আসরে নেমেছে বঙ্গ বিজেপির শাসকশিবিরও। বিক্ষুব্ধদের আলোচনায় বসারও ডাক দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি। দলে এই ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যেই এবার ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনে দলের রাজ্য দপ্তরে আয়োজন করা হয়েছে বাগদেবীর আরাধনার।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সরস্বতী পুজোর মধ্য দিয়ে মেলবন্ধনের বার্তা দিতে চাইছে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাংশের আরজিতেই এই পুজোর আয়োজন। পুজো ঘিরে অনুষ্ঠানে অনেক মানুষকে একসঙ্গে পাওয়া গেলে দলেরই লাভ। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদেরও পুজোতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাজ্য দপ্তরের নিচে হলঘরে পুজো হবে। পুজোর আয়োজনের দায়িত্ব মহিলা মোর্চার। মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী জানালেন, দুপুরে থাকছে গোবিন্দভোগ চালের খিচুড়ি ভোগ, নিরামিষ আলুরদম সহকারে আহারের আয়োজন। কোভিড বিধি মেনেই পুজো হবে। আর রাজ্য দপ্তরের বাইরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। দলের আইটি সেলের আহ্বায়ক জয় মল্লিকের বক্তব্য, নিয়মনীতি মেনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা কতটা সম্ভব সেটা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে।