খড়্গপুরে ব্রাত্য খোদ সাংসদ দিলীপ, পুরভোটে বিজেপির ‘মুখ’ বিধায়ক হিরণ
খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় ও স্থানীয় সাংসদ দিলীপ ঘোষের মধ্যে দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। বিগত বেশ কয়েকদিন আগেই এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। এহেন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ছিল, খড়্গপুরের পুরভোটে বিজেপির মুখ কে হতে চলেছেন। সেই প্রশ্নরই জবাব দিল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, অভিনেতা বিধায়ককেই প্রচার মুখ করে খড়্গপুরের পুরভোটের ঘুঁটি সাজাবে বিজেপি।
বৃহস্পতিবার পুরভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতেই পুরভোটের কমিটি প্রকাশ করে বিজেপি। তাতে দেখা গিয়েছে, কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। কমিটিতে নাম রয়েছে হিরণের তিন সহায়কেরও। হিরণের তিন সহায়ক – তুষার মুখোপাধ্যায়, গৌতম ভট্টাচার্য এবং জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ‘আদি’ বিজেপি নেতা হিসেবেই পরিচিত খড়্গপুরে। যদিও দিলীপের সঙ্গে এই তিন ‘আদি’ নেতার সম্পর্ক ঠিক মধুর নয়। দিলীপ জমানায় দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এই তিন নেতা থাকতেন আড়ালেই। এদিকে ইস্তেহার কমিটিতেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে দলের দুই ‘আদি’ নেতা তরুণকান্তি দে এবং সমিত মণ্ডলকে।
কয়েকদিন আগে খড়্গপুরের পুরভোটের জন্য দলকে প্রস্তুত রাখতে বৈঠক করেছইলেন সাংসদ তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও সেই বৈঠকে দেখা মেলেনি বিধায়ক হিরণের। বিধায়ক পরে অভিযোগ করেছিলেন, বৈঠকের বিষয়ে তাঁকে কিছুই জানানো হয়নি আগের থেকে। তাঁর অনুপস্থিতিতে হওয়া এই বৈঠক নিয়ে প্রশ্নও তোলেন হিরণ। সেই সময়ই হিরণকে ‘হোয়াটসঅ্যাপ বিদ্রোহ’ করে বেশ কয়েকটি দলীয় গ্রুপ ছাড়তে দেখা গিয়েছিল। এই ঘটনার পরই রাজ্য নেতৃত্ব হিরণের ক্ষোভ মেটাতে ময়দানে নামে। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিজে বৈঠক করেন হিরণের সঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে নিজের গড়ের পুরভোটেই একপ্রকার কোণঠাসা দিলীপ ঘোষ। হিরণের আগে ২০১৬ সালে খড়্গপুর সদর থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন দিলীপ। পরে ২০১৯ সালে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন সাংসদ। তাঁর লোকসভা কেন্দ্রেরই অন্তর্গত খড়্গপুর সদর। তবে তাঁ ঘনিষ্ঠ কোনও নেতাকেই কমিটিতে রাখেনি রাজ্য নেতৃত্ব।