আগ্রহ বাড়ছে মমতার ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে, নথিভুক্ত ৭৮ লক্ষ চাষি
রাজ্যে কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত কৃষকের সংখ্যা এখন প্রায় ৭৮ লক্ষ। প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর থেকে নথিভুক্ত কৃষকের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। রাজ্য সরকার চাইছে আরও প্রকৃত কৃষকরা এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করুন। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্তদের নিয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে সংখ্যা কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে কিছু মহলে যে প্রচার চালানো হচ্ছে, তা ঠিক নয় বলে কৃষিদপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার সময় সব কিছু যাচাই করে নেওয়া হয়েছিল। আধার নম্বর, জমির মালিকানা বা ভাগ চাষ করা সংক্রান্ত নথি প্রভৃতি দেখে নাম নথিভুক্ত করা হয়। প্রকৃত কৃষকরা এই প্রকল্পে আছেন। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে কেউ নাম নথিভুক্ত করতে চাইলে শুধু যাচাই করে নেওয়া হচ্ছে, আগে তাঁর নাম এই প্রকল্পে ছিল কি না।
নতুন কৃষকদের নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের প্রকল্পটি অনেকটাই সুবিধাজনক। নতুন করে কেউ নিজের নামে জমি মিউটেশন করলেও কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নাম তুলতে পারেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পিএম কিষান নিধি প্রকল্পে এব্যাপারে বিধিনিষেধ আছে। কৃষিজমি সদ্য নিজের নামে মিউটেশন করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অনুদান পাওয়া যায় না। কিন্তু রাজ্য প্রকল্পে পারিবারিক জমি ভাগাভাগি করে ভাই-বোনেরা নিজেদের নামে মিউটেশন করে নিলেও কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করা যায়। কৃষিদপ্তর সূত্রের খবর, প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর এভাবে মিউটেশন করার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে সুবিধাপ্রাপকদের সংখ্যা প্রচুর বৃদ্ধি পাওয়ার এটা অন্যতম কারণ। আরও একটি কারণ হল অ-নথিভুক্ত ভাগচাষিরাও কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হওয়া। প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর জমির মালিক ও নথিভুক্ত ভাগচাষিরা শুধু সুবিধা পেতেন। কৃষিদপ্তরের ওই কর্তা জানিয়েছেন, কৃষক পরিবারের কোনও সদস্য অন্য পেশা থেকে নিজে কৃষিকাজে যুক্ত হওয়ার জন্য কৃষকবন্ধু প্রকল্পে শামিল হতে চাইলে সেটিকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। আসন্ন দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্তদের সংখ্যা আরও বাড়বে।