রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে বিজেপি নেতা বলে কটাক্ষ ফিরহাদ হাকিমের
“রাজ্যপাল বিজেপির নেতা হয়ে গিয়েছেন।” শুক্রবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে কটাক্ষ করে এমনই তোপ দাগলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ তকমা দিয়ে তাদের স্থায়ীত্বের ভবিষ্যৎবাণীও করলেন ফিরহাদ। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত দিন-দিন বেড়েই চলেছে। এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারও।
এই প্রসঙ্গে এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ধীরে-ধীরে সবাই বুঝতে পারবেন, এই রাজ্যপাল বাংলার ক্ষতি করছেন। শুধু হাওড়া, বালির বিল (পুরসভা বিল) আটকানো নয়, রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছেন। তিনি বিজেপির মুখপত্র হিসেবে কাজ করছেন। যেহেতু বিজেপির এখানে শিরদাঁড়া ভেঙে গিয়েছে, তাই তিনি নিজে দায়িত্ব নিয়েছেন এখানে বিজেপিকে আনার। তিনি এখন রাজ্যপাল নেই, বিজেপি নেতা।”
একইসঙ্গে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের তৎকালীন রাজ্যপালের বিরোধের প্রসঙ্গ টেনে ফিরহাদের কটাক্ষ, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় তাঁকেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছিল। আদালত পর্যন্ত গিয়েছিল বিষয়টি। পরবর্তীতে রাজ্যপাল আর কাজে যোগ দেননি সৌজন্যতা দেখিয়ে। এই রাজ্যপালের সেই সৌজন্যতাও নেই।”
রাজ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি শুরু হলেও বৃহস্পতিবার নেতাজী ইন্ডোরে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তারই জবাব দিয়ে এদিন ফিরহাদ পালটা বললেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক প্রধান। তাই তিনি প্রশাসনের যে কোনও স্তরের কাছে পরামর্শ দিতে পারেন। ডিএম, এসপি কেন, যে কাউকে তিনি নির্দেশ দিতে পারেন কাজের গতি আনতে। কাউকে তাঁর কাজের কথা মনে করানো তাঁর কর্তব্য।”
রাজ্যপালের পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও একহাত নেন কলকাতার মেয়র। সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ট্যাবলো প্রদর্শনীতে উত্তরপ্রদেশ প্রথম হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, “ট্যাবলো নিয়ে রাজ্য মাথা ঘামাতে চায় না। তবে কেন্দ্রের সরকার পক্ষপাতদুষ্ট সরকার। এদের কোনও রীতি-নীতি, জ্ঞান, সৌজন্যতাবোধ নেই। নিজেদের ছাড়া কিছু জানি না। এরকম চলতে থাকলে ২০২৪-এ এই সরকার যাচ্ছে।”
অন্যদিকে, ধাপার মাঠ পরিষ্কারের কাজ যত দ্রুত সম্ভব করা হচ্ছে এবং দেবব্রত মজুমদার নিজে প্রতিদিন সেখানে গিয়ে কাজের মনিটরিং করছেন বলে জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র। যদিও কাজে দেরি হচ্ছে বলে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। এপ্রসঙ্গে ফিরহাদের জবাব, এটা ম্যাজিক নয়, এটা কাজ। আগামী দিনে জঞ্জাল ফেলার গোটা প্রক্রিয়াটা ডাম্পিং না করে মর্ডানাইজেশনের কথা ভাবা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।