রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

তৈরি হচ্ছে ড্রাগ কন্ট্রোলের নয়া ভবন ল্যাবরেটরি, খরচ ১২০ কোটি টাকা

February 5, 2022 | 2 min read

একদিকে রয়েছে ৫০ হাজারের বেশি ওষুধের দোকান। অন্যদিকে রয়েছে কয়েক হাজার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল স্টোর্স। বিষয়টি যখন ১০ কোটি রাজ্যবাসীর জন্য স্পর্শকাতর ওষুধ পরিষেবার, সবসময় নজরদারি দরকার। এ কারণে রাজ্য সরকারও স্বাস্থ্য দপ্তরের ড্রাগ কন্ট্রোল শাখাটি ঢেলে সাজার উদ্যোগ নিল। রাজ্যজুড়ে ড্রাগ কন্ট্রোলের সমস্ত ভবনের আধুনিকীকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আধুনিক হচ্ছে ওষুধ পরীক্ষার পরিকাঠামোও। রাজ্য পাচ্ছে নয়া ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি। গোটা উদ্যোগে ১২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে রাজ্য সরকার। ৪৫ কোটি টাকা খরচ হবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ড্রাগ কন্ট্রোল ভবনগুলির সংস্কার, আধুনিকীকরণ ও নতুন ভবন তৈরিতে। ৭৫ কোটি টাকা খরচ হবে কনভেন্ট রোডের ল্যাবরেটরিটির আধুনিকীকরণ ও নয়া ল্যাবরেটরি ভবন তৈরিতে। বুধবার এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ড্রাগ কন্ট্রোল শাখার সর্বস্তরে আধুনিকীকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। নয়া ভবন ও ল্যাবরেটরি হচ্ছে। 

স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, বর্তমানে কেআইটি বিল্ডিংয়ের ছ’তলায় রয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের সদর দপ্তর। সল্টলেকের স্বাস্থ্যভবন দূরস্থান, দপ্তরের অন্য কোনও অফিস বা হাসপাতালের ধারেকাছেও নয় এই শাখার অফিস। অত্যন্ত জরুরি হলেও, ড্রাগ কন্ট্রোল শাখা দুয়োরানির অবহেলা পেয়ে এসেছে, এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বাজার ও হাসপাতালের ওষুধের গুণমান দেখতে, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে, একসময় এই শাখার ইনসস্পেক্টরের সংখ্যা ছিল অত্যন্ত কম। ২০১৮ সালে ৭৯ জন ইনসপেক্টর নিয়োগের পর সেই সমস্যা অনেকটাই দূর হয়েছে। কিন্তু, এখনও কাজকর্মের পরিবেশ এবং ওষুধের গুণমান পরীক্ষার পরিকাঠামো মান্ধাতার আমলের। বহু জরুরি ক্ষেত্রে এখনও ওষুধের পরীক্ষা রিপোর্ট সময়ে মেলে না। আইনি ব্যবস্থা নিতেও দেরি হয়।  দপ্তরের একাধিক পদস্থ আধিকারিক বলেন, আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের নতুন ভবনের পিছন দিকে স্বাস্থ্য পরিবহণ শাখার পাঁচতলা অফিস রয়েছে। সেই অফিসটাই আরও ছ’তলা বাড়ছে। উপরের ছ’তলা অংশ বরাদ্দ থাকবে ড্রাগ কন্ট্রোলের জন্য। কনভেন্ট রোডে পাস্তুর ইনস্টিটিউটের পাশেই রয়েছে রাজ্যের স্টেট ড্রাগস কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ ল্যাবরেটরি। ঢেলে সাজছে সেই সেটি। সেখানেও হবে ছ’তলা ভবন। 

রাজ্যজুড়ে ড্রাগ কন্ট্রোলের ১৮টি জেলা অফিস এবং ৪টি আঞ্চলিক অফিসও রয়েছে। সেগুলি বর্ধমান, শিলিগুড়ি, বহরমপুর এবং বাঁকুড়ায়। বহু অফিস‌ চলছে ভাড়াবাড়িতে। সম্প্রতি এই ইস্যুতে সরকারের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছিলেন ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা। এরপরই সিদ্ধান্ত হয়েছে, জেলা এবং আঞ্চলিক—সবক’টি অফিস ভবনের পরিকাঠামোরই আধুনিকীকরণ করা হবে।  এই মুহূর্তে

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#New Office, #Drug Control

আরো দেখুন