২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে কলকাতা বইমেলা, শ্রদ্ধা জানানো হবে লতা মঙ্গেশকরকেও
কোভিড বাঁধা কাটিয়ে উঠে আয়োজিত হচ্ছে ৪৫ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা (International Kolkata Book Fair)। মেলা আয়োজিত হতে চলেছে করুণাময়ী মেলা উদ্যানে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত চলবে কলকাতা পুস্তকমেলা। তার আগে রবিবাসরীয় বিকেলে মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে দেখলেন গিল্ড কর্তারা। আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা করুণাময়ীর মেলা উদ্যান পরিদর্শন করেন। খতিয়ে দেখেন সামগ্রিক পরিস্থিতি। উল্লেখ্য, এবারের কলকাতা বইমেলার থিম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ৫০ বছর পূর্তিকে সম্মান জানাতেই এই উদ্যোগ।
কোভিড পরিস্থিতিতে বইমেলার জন্য কতটা প্রস্তুত গিল্ড?
রাজ্যে করোনার ধাক্কা অনেকটা সামাল দেওয়া গেলেও, এখনও পুরোপুরি নিস্তার মেলেনি কোভিড থেকে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা বইমেলার আয়োজন করার জন্য কী পদক্ষেপ করছে গিল্ড? জবাবে রবিবার গিল্ডের তরফে ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের কাছে এটা একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা আজ সেই জন্যই এসেছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, আমাদের সঙ্গে একঝাঁক তরুণ প্রজন্ম, যাঁরা প্রকাশনায় রয়েছেন, তাঁরা সবাই এসেছেন। আমাদের আর্কিটেক্ট রয়েছেন, আমাদের সহযোগী বন্ধুরা রয়েছেন। আমরা সবাই এসেছি। আমরা খুব উত্তেজিত যে এক বছর পরে আমরা আবার এই মাঠে এসেছি, এই মাঠের গন্ধ পাচ্ছি এবং এই চ্যালেঞ্জটা আমরা গ্রহণ করেছি। দেখা যাক পরিস্থিতি… সব ব্যাপারটা আজকে বলার জন্য নয়। আমরা সময়ে সময়ে আপনাদের কাছে আসব। আগামী ১০ তারিখ আমাদের একটি সাংবাদিক বৈঠক রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও আসছেন। শুধু এটুকু বলতে পারি, ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন করে কলকাতা বইমেলার জয়যাত্রা শুরু হবে।
বইমেলায় প্রয়াত বিশিষ্টজনদের প্যাভিলিয়নে থাকবেন লতা মঙ্গেশকরও
ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, “এই বইমেলায় একটি বিশেষ প্যাভিলিয়ন করা হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রায় ১৬ জন স্বনামধন্য… দিলীপ কুমার, লতা মঙ্গেশকররা তো রয়েছেনই, এছাড়া আমাদের বুদ্ধদেব গুহ, বিরজু মহারাজ… বাদ কেউ নেই। শঙ্খ ঘোষ চলে গিয়েছেন। এই পুরো একটা মৃত্যু মিছিল গত দেড় বছর ধরে রয়েছে। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানোর জন্য আমরা একটি প্যাভেলিয়ন করছি। সেখানে লতা মঙ্গেশকরকেও যুক্ত করা হবে।”