বিনোদন বিভাগে ফিরে যান

গিনেস বুকে নাম উঠেছিল লতা মঙ্গেশকরের, জানেন কেন

February 6, 2022 | < 1 min read

বসন্ত পঞ্চমী শেষ হতে না হতেই ধরাধামের মায়া কাটিয়ে, সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন সরস্বতী মায়ের প্রিয় সন্তান লতা মঙ্গেশকর। রবিবার সকালে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত ২৮ দিন ধরেই ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। মাঝে শরীর কিছুটা সেরেও উঠেছিল। তবে শনিবার শারীরিক অবস্থার ফের অবনতি হয়। দেওয়া হয় ভেন্টিলেটর সাপোর্টে। যদিও শেষ রক্ষা হল না

খুব ছোট বয়সে বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরের হাত ধরেন গান ও অভিনয়ের জগতে পা রাখেন। তবে বাবা মারা যান যখন প্রয়াত গায়িকার বয়স মাত্র ১৩। লতাই ছিলেন সবার বড়। ছোট ভাই-বোন-মায়ের দায়িত্ব নিতে সংসারের হাল ধরেন তিনি।

১৯৭৪ সালে সবচেয়ে বেশি গানের শিল্পী হিসেবে গিনেস বুকে স্থান পান লতা। ছবিতে লতার গান থাকা মানেই ছিল হলের বাইরে দর্শকদের লম্বা লাইন। লতার সুমধুর গলার আওয়াজ, সুর প্রাণ দিত গানে।

লতা একবার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘প্রায়ই রেকর্ডিং করতে করতে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়তাম আমি, আর খুব খিদে পেত। তখন রেকর্ডিং স্টুডিয়োর ক্যান্টিনে চা-বিস্কুট পাওয়া যেত। আর অন্য কিছু পাওয়া যেত কি না জানি না। সারাদিন ১ কাপ চা আর দু’-তিনটে বিস্কুট খেয়েই কেটে যেত।’

লতা আরও জানান, ‘সারাক্ষণ মাথায় এটাই ঘুরত যে নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে আমাকে। এমনও দিন গেছে যেদিন সারাদিন জল খেয়ে রেকর্ডিং করেছি। কাজের ফাঁকে মনেই আসেনি ক্যান্টিনে গিয়ে কিছু খাবার খেয়ে আসতে পারি।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Lata Mangeshkar, #Guinness book of world records

আরো দেখুন