লতা হয়ে আর জন্মাতে চান না, আক্ষেপ করে বলেছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী
গান স্যালুটে বিদায় জানানো হল গানের সম্রাজ্ঞীকে। পঞ্চভূতে লীন হল লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) নশ্বর দেহ। ভারতীয় সঙ্গীতের জগতে এক অধ্য়ায় পূর্ণ হল। এখানেই কি সব শেষ? মৃত্যুর পর কি আর কিছুই থাকে না? পরজন্ম বলে সত্যিই কি কিছু আছে? এমন প্রশ্ন উঠতেই থাকে। লতা মঙ্গেশকরেও এক সময় এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। হেসে উত্তর দিয়েছিলেন ভারতের ‘নাইটিঙ্গল’।
কিংবদন্তি শিল্পীর প্রয়াণেরই পরই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে সম্ভবত তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আবার জন্ম নিতে হলে কি লতা মঙ্গেশকর হয়ে জন্মাতে চাইবেন? প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলেন কিংবদন্তি। জানান এর আগেও তাঁকে এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। তারপরই বলেন, “আবার জন্মাতে না হলেই ভাল হয়। তবে যদি জন্ম নিতেই হয় তাহলে আমি লতা মঙ্গেশকর হিসেবে আর জন্মাতে চাই না। লতা মঙ্গেশকরের দুঃখের কথাগুলি শুধু সেই জানে, আর কেউ নয়।”
উপরোক্ত মন্তব্য করে ফের হেসে উঠেছিলেন শিল্পী। কিন্তু তাঁর সেই হাসির মধ্যেও যেন লুকিয়ে ছিল দুঃখের আভাস। সংসারের বড় সন্তান ছিলেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন। সেই বয়সেই বাড়ির অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব সামলাতে হয়েছিল। চার ভাই-বোনের দায়িত্ব সামলানো মুখের কথা নয়। সেই তাগিদেই সিনেমার জগতে পা রেখেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। ভারতীয় চলচ্চিত্রে শুরু হয়েছিল লতা অধ্যায়।
তবে শুরুর সেই পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। ‘আয়েগা আনেওয়ালা’, ‘প্যায়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া’, ‘আল্লা তেরো নাম’, ‘কঁহি দীপ জ্বলে’র মতো অজস্র গানের মালকিনকে একদিন শুনতে হয়েছিল সিনেমার প্লে-ব্যাকের জন্য তাঁর গলা বড্ড সরু। হার মানেনি লতা। সমস্ত বাধা-বিপত্তির সঙ্গে লড়ে গিয়েছেন। দশকের পর দশক মানুষের মন জয় করে হয়ে উঠেছেন ভারতীয় সংগীতের একচ্ছত্র সম্রাজ্ঞী। তবে কিছু এমন দুঃখ তাঁর মনেও ছিল, যার জন্য আর পুনর্জন্মে আকর্ষিত হননি।