ট্রামে বসে উপভোগ করুন কলকাতার মুখরোচক খাবার, নতুন রেস্তোরাঁ নিউটাউনে
নিউটাউনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রাম। রুট নম্বর ২৬১। গন্তব্য নিউটাউন থেকে কলকাতা। চারপাশে টাঙানো সিনেমার পোস্টার। ল্যাম্পপোস্টের তারে বসে পায়রা। যেন নিউটাউনে এক টুকরো পুরনো কলকাতা। এক পলকে দেখে হতচকিত হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। ট্রাম কী করে এল নিউটাউনে? যাবেই বা কী করে? কোনও ট্রামলাইন তো নেই!
সামনে যেতে বিভ্রান্তি দূর হল। আসলে ট্রামের মধ্যে শহরের জনপ্রিয় পথচলতি খাবার খাওয়ানোর জমজমাট ব্যবস্থা করেছে নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ)। ট্রামের ভিতরেই রেস্তরাঁ। একসঙ্গে ২০ জনের বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। টেবিলের দু’পাশে মুখোমুখি চেয়ার বসানো। সেখানে বসে কাবাব, নুডলস থেকে শুরু করে পাও-ভাজি, ছোলা বাটোরা, রোল- সবই খেতে পারবেন শহরের খাদ্যপ্রেমীরা। এনকেডিএ কর্তাদের দাবি, নিউটাউনের নতুন আকর্ষণ এই ট্রাম-রেস্তরাঁ। তাঁরা বলছেন, প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য নিউটাউনই এখন ‘পারফেক্ট প্লেস’।
কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, ইকো পার্কের গেট নম্বর ২ এর বিপরীতে রয়েছে মাদার ওয়াক্স মিউজিয়াম। তার ঠিক সামনেই একটি রেস্তরাঁ তৈরি করা হয়েছে। ভাবনায় অভিনব সেটি। ট্রাম ছাড়াও সেখানে বসার জন্য আরও দু’ধরনের জায়গা রয়েছে। একটি ওপেন এয়ার রেস্তরাঁ। অপরটি কাচঘেরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। গত বছরের শেষ দিনে এই রেস্তরাঁটির উদ্বোধন করে এনকেডিএ। তারপর থেকেই সেখানে জমিয়ে চলছে খানা-পিনা। নিউটাউনের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই ফুড জয়েন্ট রোজ দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকছে।
রেস্তরাঁকে কেন্দ্র করে অভিনবত্ব এবং পুরনো কলকাতার ঐতিহ্যের মিশেলে গোটা এলাকাটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। মেট্রোর পিলারে আঁকা হয়েছে রঙিন গ্রাফিতি। তাতে কলকাতার বিভিন্ন দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এনকেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রাম একটি অন্যতম নস্টালজিয়া কলকাতার বাসিন্দাদের কাছে। তবে ইদানীং শহরের রাস্তা থেকে সেই নস্টালজিয়া প্রায় উধাও। ট্রামের সেই নস্টালজিয়াকে ফের শহরবাসীর কাছে ফের তুলে ধরার জন্যই এই উদ্যোগ। এনকেডিএ চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, রেস্তরাঁর মাধ্যমে পুরনো কলকাতার বিভিন্ন চিত্র, স্মৃতি আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই। সেই জন্যই এই থিম রেস্তরাঁ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেস্তরাঁর ভিতরের অংশটিও সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে। তিনি জানালেন, খাদ্যপ্রেমীরাও ভালো ফিডব্যাক দিচ্ছেন।