অবিলম্বে স্কুল খুলে দেওয়া হোক, রাজ্য সরকারকে পরামর্শ নোবেলজয়ী অভিজিতের
করোনাভাইরাসের একের পর এক ধাক্কার জেরে বন্ধ হয়েছে স্কুলের পঠনপাঠন। এই নিয়ে বাংলায় বিরোধীরা রাজ্য সরকারকে স্কুল খোলার জন্য চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেই খোলা হবে স্কুল বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই নবম–দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত খোলা হয়ে স্কুল। প্রাথমিক পড়ুয়াদের জন্য পাড়ায় শিক্ষালয় চালু হয়েছে। এবার দ্রুত স্কুল খুলে দেওয়া হোক বলে রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিত্ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন খুলে দেওয়া প্রয়োজন স্কুল? অ্যানুয়াল স্ট্যাটাস অফ এডুকেশন রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, স্কুলে না যেতে পেরে ৯০ শতাংশ পড়ুয়ার রিডিং লেভেল ১০ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। সার্বিক শিক্ষার মান পড়েছে। এই আলোচনাচক্রে রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘অবিলম্বে স্কুল খুলে দেওয়া হোক। শিক্ষকদের সিলেবাস নিয়ে ভাবার দরকার নেই। শিশুদের খামতি দেখে আগে সেটা মেটানো দরকার। স্কুলে না দিয়ে অনভ্যাস তৈরি হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। করোনাভাইরাসের জেরে স্কুল বন্ধ রয়েছে। বহু স্কুলে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। এই অনলাইন ক্লাসের শিক্ষা যথেষ্ট নয় বলেই শিক্ষাবিদরা মনে করছেন। তাই স্কুল খুলে দিতে পরামর্শ দিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিক্ষকদের একাংশ বলছেন, এই স্মার্টফোন, ল্যাপটপে ক্লাস করে বহু ছাত্রছাত্রীর চোখে প্রভাব পড়েছে। তাছাড়া লেখার অভ্যাস কমে গিয়েছে। পড়ার মান পড়ে গিয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা স্বাভাবিক বেড়ে উঠতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে আবার অনেকের স্মার্টফোন না থাকায় পড়াশোনা লাটে উঠেছে। এখন করোনাভাইরাস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তাই স্কুল খুলে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।