মমতার অনুমোদন ছাড়া প্রার্থী হলেই শাস্তি, ক্ষোভ ধামাচাপা দিতে সিদ্ধান্ত তৃণমূল নেতৃত্বের
বিদ্রোহ আজ চারিদিকে। কারণ একটাই, দলের প্রার্থী তালিকায় নাম নেই। আর তার জেরে উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। আর তা থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের এই সিদ্ধান্তে অস্বস্তিতে পড়েছে দল। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নেতৃত্বের ‘সিলমোহর’ দেওয়া প্রার্থী তালিকা না মেনে বিভিন্ন জায়গায় দলীয় প্রার্থী হিসেবে পুরসভার নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়া বা নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এটাই দলীয় সিদ্ধান্ত।
ইতিমধ্যেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, দলীয় নেতৃত্বের সই করা যে তালিকা জেলায় পাঠানো হয়েছে সেটিই আসল। তা সত্ত্বেও এমন ঘটনা ঘটছে দলে। এই বিষযে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক শহরের জনপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘এবার যদি কোনও জেলার নেতা–নেত্রী দলনেত্রীর কখা অমান্য করেন তাহলে সেটা অবমাননা হিসাবে গণ্য হবে। এমনকী কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে।’
আজ, বুধবার মনোনয়ন জমার শেষ দিন। তাই কে বা কারা দলের নির্দেশ অমান্য করে মনোনয়ন জমা দেন সেদিকে নজর রাখা হয়েছে। স্বয়ং কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ফুঁসে ওঠায় দলের অস্বস্তি আরও বেড়েছে। বেলাগাম সৌগত রায়কে আক্রমণ করা থেকে শুরু করে পার্থ–সুব্রত সম্পর্কে কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।
খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের লোকসভা কেন্দ্রে বেনজির ছবি দেখা গিয়েছে। সেখানের (ডায়মন্ড হারবার) টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন যুব সভাপতি রাজর্ষি দাসের নাম প্রথম তালিকায় ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় তালিকায়বাদ পড়ে। তারপরও তিনি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনোনয়ন জমা দিয়েছি। প্রথম তালিকা মেনেই মনোনয়ন জমা দিয়েছে।’