মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিয়ে রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল আরবিআই
করোনার প্রকোপকে পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। চাঙ্গা হচ্ছে শেয়ার বাজার। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিয়ে রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India)। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছেন আরবিআই গর্ভনর শক্তিকান্ত দাস।
আরবিআই (RBI) গর্ভনরের এই ঘোষণার ফলে আগামী ত্রৈমাসিকের জন্য রেপো রেট রইল ৪ শতাংশ। আর রিভার্স রেপো রেট রইল ৩.৫ শতাংশ। এ নিয়ে টানা দশবার রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাংক। উল্লেখ্য, প্রতি চার মাস অন্তর রেপো রেট (Repo Rate) নিয়ে বৈঠকে বসে আরবিআই। কিন্তু কী এই রেপো রেট? অপরিবর্তিত থাকায় মধ্যবিত্তরই বা কী সুবিধা হবে?
রিজার্ভ ব্যাংক যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলোকে ঋণ দেয়, তা হল রেপো রেট। আর শীর্ষ ব্যাংক যে হারে অন্য বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়, সেটাকে বলা হয় রিভার্স রেপো রেট। রেপো রেট কমালে ঋণের সুদের হার কমে। রেপো রেট কমানোর অর্থ সুদের হার কমাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে উৎসাহিত করা। যাতে মানুষ আরও ঋণ নেয় ও বাজারে টাকার জোগান বাড়ে।
আবার রেপো রেট বাড়ানোর অর্থ ঋণগ্রহীতাদের বেশি সুদ গুনতে বাধ্য করা। এবার আর সেই পথে হাঁটল না রিজার্ভ ব্যাংক (Reserve Bank)। তাই কিছুটা হলেও স্বস্তিতে গাড়ি-বাড়ির জন্য ঋণ গ্রহীতারা। কারণ, রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার না বাড়ানোয় তাঁদের ইএমআইয়ের পরিমাণেও কোনও বদল আসবে না। এই নিয়ে টানা ১০টি মনিটরি পলিসি বৈঠকে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হল। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে শেষবার রেপো রেট কমিয়েছিল আরবিআই।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়েও আশার বাণী শুনিয়েছেন শক্তিকান্ত দাস। জানিয়েছেন, IMF-র অনুমান অনুসারে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলির মধ্যে ভারতের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেতে চলেছে। করোনার মন্দা কাটিয়ে ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৯.২ শতাংশ। আগামী অর্থবর্ষে এই বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.৮ শতাংশ। আরবিআই গর্ভনর আরও জানিয়েছেন, “অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর গতি বেশ কিছুটা মন্থর হয়েছে। বেসরকারি ক্ষেত্রে বিনিয়োগও এখনও ধীর গতিতে চলছে।” তবে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।