শুভেন্দুর ঘরওয়াপসি কী শুধুই সময়ের অপেক্ষা? সব্যসাচীর মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা
একুশের নির্বাচনের পর থেকে এক একে পুরোনো দলে ফিরেছেন মুকুল রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সব্যসাচী দত্ত-সহ আরও অনেকে। এবার কী শুভেন্দু অধিকারীর পালা? জল্পনা বাড়াচ্ছে সব্যসাচী দত্তের মন্তব্য।
এক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা সব্যসাচী বলেন, ” শুভেন্দু আসতে পারলে বেঁচে যায়। তৃণমূলের পিছন দরজা দিয়ে কোনও দরজা রয়েছে কী না খুঁজে বেড়াচ্ছে। তৃণমূলে আসার জন্য শুভেন্দু পিছনের দরজা খুঁজছেন একবার নে না বাবা, আমি কী দোষ করলাম! অতৃপ্ত আত্মা।”
সেই সঙ্গেই সব্যসাচী আরও যোগ করেন, “মমতাদি আশীর্বাদ করেছে। অভিষেক অনুমোদন করেছে তাই যোগদান করতে পেরেছি। আমি চলে এসেছি, সেটাই রাগ। তাঁর বক্তব্য, শুভেন্দু আসতে পারেনি। তিনি এসেছেন তাই রাগ হয়েছে”। সব্যসাচী দত্তের এহেন মন্তব্যেই ফের বঙ্গ রাজনীতিতে চঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
সব্যসাচীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “যারা অন্যের দয়ায় রাজনীতি করেন, তাঁরা এই ধরনের কথা বলেন। শুভেন্দু অধিকারী লড়াই এবং আন্দোলনের মাধ্যমেই উঠে এসেছেন। ঠিক এই চক্রান্ত মুকুল রায়ের বিরুদ্ধেও করা হয়েছে আগে। উনি হয়ত ভয়ে অথবা প্রলোভনে চলে গেলেন। তাঁর সব সম্মান শেষ। একইভাবে এধরনের চক্রান্ত করা হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। এটা সত্যি কী না সেটা অন্য বিষয়।”
প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই শুভেন্দুর তৃণমূলে ফেরার কথা বলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে খবর এসেছে। বিজেপিতে শুভেন্দু অধিকারীর দমবন্ধ হয়ে আসছে। তিনি আবার তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। ইডি, সিবিআই ইত্যাদির ভয়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলা কিংবা রাজ্যকে আক্রমণ করা আসলে শুভেন্দুর বাধ্যবাধকতা”।
শুভেন্দু অধিকারীর ঘরে ফেরার সম্ভাবনা নিছক জল্পনা নাকি সত্যি, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি।