সোমবার হিজাব-মামলার শুনানি, আপাতত কলেজে পড়ুয়াদের ধর্মীয় পোশাকে ‘না’ কর্ণাটক হাইকোর্টের
কর্ণাটকের এক কলেজের অন্দরে কোনও রকমের ধর্মীয় পোশাক পরা থেকে আপাতত পড়ুয়াদের বিরত থাকতে বলেছে কর্ণাটক হাইকোর্ট। যতদিন এই গোটা বিষয়টি আইন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, ততদিনের জন্য ধর্মীয় পোশাক পরা থেকে পড়ুয়াদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এই ইস্যুতে আগামী সোমবার দুপুর ২:৩০ মিনিটে মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ১০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি হয় কর্ণাটকের জাস্টিস ঋতুরাজ অবস্থি, জাস্টিস কৃষ্ণা দিক্ষীত, ও জাস্টিস জেএম খাজির বেঞ্চে। উল্লেখ্য, কলেজ পড়ুয়াদের হিজাব বা ধর্মীয় পোশাক পরা নিয়ে চলেছে এই মামলা। বিজেপি শাসিত কর্ণাটক সরকার কলেজে পড়ুয়াদের হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তার প্রেক্ষিতেই এই মামলা চলে। উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত গত ডিসেম্বরে। যখন হিজাব পরিহিত হয়ে কয়েকজন কর্ণাটকের উড়ুপির কলেজে প্রবেশ করছিলেন তার কিছুদিন পর কলেজে অনেকে গেরুয়া বস্ত্র পরে প্রবেশ করতে শুরু করেন। এরপরই শুরু হয় দ্বন্দ্ব। উঠতে থাকে বিতর্ক। এদিকে, পড়ুয়াদের তরফে আজ আদালতে আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে বলেন, কর্ণাটক এডুকেশন অ্যাক্টের আওতায় কোনও মতেই স্কুলে ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক এমনটা বলা নেই। বিষয়টি সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কর্ণাটক সরকারের তরফে আজ আদালতে প্রতিনিধিত্ব করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তিনি বলেন, কোনও মতেই একই শিক্ষ প্রতিষ্ঠানে একদন পড়ুয়া হেডকভার আর আরেকদল পড়ুয়া গেরুয়া শাল পরে আসবেন, তা মেনে নেওয়া ঠিক নয়। এদিকে, এই মামলায় একটি পিআইএল দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে সেই মামলা নিয়ে কোনও তারিখ ধার্য করা থেকে বিরত থেকেছে দেশের শীর্ষ আদালত। আদালত জানিয়েছে, আগে হাইকোর্টের রায় আসুক, তারপর এই বিষয়ে পদক্ষেক করা যাবে।