কৃষির সাফল্যের ইতিহাস তুলে ধরতে মিউজিয়াম, শীঘ্রই উদ্বোধন বিধান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে
এক ঝলকে দেখে নিতে চান, পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলায় কোন ফসল ভালো হয়? জানেন কি, কোন কৃষি গবেষণার ফলাফল কাজে লাগিয়ে আজ সারা দেশে ধান চাষে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ? কৃষির উন্নতিতে কল্যাণীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিসিকেভি) ভূমিকাই বা কী? এসব প্রশ্নের জবাব পেতে আপনাকে একবার ঢুঁ মারতে হবে বিসিকেভির নিজস্ব মিউজিয়ামে। এটি গড়ে তোলার কাজ শেষ পর্যায়ে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই উদ্বোধন করা হবে। কৃষি-গবেষক থেকে শুরু করে আগ্রহীদের নানা কৌতূহলের নিরসন হবে এখানে এলে।
কৃষির ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরতেই মিউজিয়াম গড়ছে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নদীয়ার মোহনপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশদ্বার লাগোয়া ভবনের নীচের তলায় কয়েক হাজার বর্গফুট এলাকাজুড়ে গড়ে উঠছে এই সংগ্রহশালা। কাজ শেষের পথে। মাসখানেকের মধ্যেই উদ্বোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ১৯৭৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পর থেকে এই প্রথম এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হল। আইসিএআরের (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চ) আর্থিক সহায়তায় তৈরি করা হচ্ছে এই মিউজিয়াম। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও এর পথচলার যাবতীয় স্মরণীয় ইতিহাস তুলে ধরা হবে এখানে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষকদের কীরকম সহায়তা করা হচ্ছে— সাফল্যের এই যাত্রাপথ জানা যাবে মিউজিয়ামে এলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিকাশচন্দ্র সিংহ মহাপাত্র বলেন, এই ভবনটি দীর্ঘদিন তৈরি হয়ে পড়েছিল। আমরা সেটির নীচের তলায় মিউজিয়াম করছি। ওই ভবনের উপরের অংশটি দেওয়া হয়েছে ডাইরেক্টরেট অব রিসার্চকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ও তার ইতিহাস, বিভিন্ন কৃষি মডেল, কৃষি মানচিত্র মিউজিয়ামে রাখা থাকবে। কৃষিবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণারত ছাত্রছাত্রীদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী আমরা। খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে এটির উদ্বোধন হবে। আরও জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কাজকর্ম এক ছাতার তলায় রাখার উদ্দেশে ‘ডাইরেক্টরেট অব রিসার্চ’ বিভাগটি এই ভবনের উপরের তলে আনা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভবনে চলছিল এই বিভাগ। সেখানেই বিসিকেভির বিভিন্ন প্রজেক্ট এবং রিসার্চের কাজ হতো। গত বছর সেপ্টেম্বরে ওই ভবন ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিসিকেভিকে চিঠি দেওয়া হয়। উপাচার্য বিষয়টি জানার পরেই বিসিকেভির মূল ক্যাম্পাসে বিভাগটি ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন। সেই মতো মিউজিয়ামের উপরের তলেই হচ্ছে ‘ডাইরেক্টরেট অফ রিসার্চ’ বিভাগ।