বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া চার পুরনিগমের ভোট শান্তিতেই
বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া চার পুরনিগমের ভোট শান্তিতেই মিটল। আজ সকাল ৭টা থেকে চার পুরনিগমে শুরু হয় ভোটগ্রহণ পর্ব। বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ি এই চার পুর এলাকার মোট ২২৭টি ওয়ার্ডে আজ ভোটগ্রহণ হয়। এবারের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয় বরং নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য পুলিসই। আজ সকালে ভোট শুরু হতেই একাধিক জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত ঘটনার খবর মিলতে থাকে। তবে মোটের ওপর ভোটগ্রহণ ছিল শান্তিপূর্ণ।
এদিন সকালে বিধাননগরে আটঘরা স্কুলে সিপিএম-নির্দল প্রার্থীর মধ্যে বচসা হয়। জানা যায়, এজেন্ট বসানো নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। বিধাননগরের ৩৩/১৩ এইচএ ব্লকে ইভিএম মেশিন খারাপের খবর মেলে। অন্যদিকে,৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীকে মারধর করার অভিযোগও উঠেছে। দুই প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে বলে দাবি। পরে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিস অকুস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। সেই ঘটনার রিপোর্ট জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। রিটার্নিং অফিসারকে পুরো বিষয়টি জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। গোলমালের অভিযোগে বিধাননগর এলাকা বিকেল ৪টে পর্যন্ত মোট ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিন ভোটচলাকালীন দলীয় প্রার্থী সব্যসাচী দত্তকে ফোন করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানতে চান, এলাকায় ভোট কেমন চলছে। অবস্থা-পরিস্থিতি কী রকম সেই সম্পর্কেও খোঁজ নেন তিনি।
অন্যদিকে রানীগঞ্জ ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ নম্বর বুথে ইভিএম মেশিন বিকল থাকায় দেরিতে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। এলাকার টিডিবি কলেজের ৭৮,৭৯,৮৩-৮৫ নম্বর বুথ থেকে বিজেপি এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুমতি মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ করেন, এদিন সকাল থেকেই বুথে ঢুকে সন্ত্রাস তৈরি করেছে দুষ্কৃতীদের একটি দল। শ্রীপুর হাটতলার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে গুলি চালানো অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। সিপিএম প্রার্থী দয়াময় বাউরির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোট লুঠ করতে এসে শূন্যে ১০- ১২ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। তবে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জামুড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি সাধন রায়ের পালটা অভিযোগ, সিপিএম প্রার্থীরাই দলবল নিয়ে এসে এলাকায় গুলি চালিয়ে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে।
অপরদিকে শিলিগুড়িতে পুরভোট শুরু হতেই ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে উত্তেজনার খবর মেলে। বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জগদীশচন্দ্র বিদ্যাপীঠ বুথের সামনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। তৃণমূলের এই অভিযোগে পুলিস পদক্ষেপ করার পরই উত্তেজনা ছড়ায়। শিলিগুড়ি থানার আইসি সুদীপ চক্রবর্তীর দাবি, সবাইকেই সরিয়ে দেওয়া হয়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিলিগুড়িতে ৭৩.৬০ শতাংশ, চন্দননগরে ৭০.৭৬ শতাংশ, বিধাননগরে ৭১.০৯ শতাংশ এবং আসানসোল ৭১.৮৭ শতাংশ ভোট পড়ল।