দেওয়াল লিখনে কার্টুন, ছড়া – বিরোধীদের থেকে প্রচারে এগিয়ে তৃণমূল
ভোটেই আগেই দেওয়াল লিখনের নিরিখে প্রথম রাউন্ডে এগিয়ে রয়েছে শাসক দল। তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে বিরোধীরা। পুরসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ এবং প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই রকমারি দেওয়াল লিখনে ভরে গিয়েছে নবদ্বীপের অলিগলি থেকে রাজপথের বিভিন্ন দেওয়াল। রাজনৈতিক দলগুলি তাদের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রতীক সহ পোষ্টার লিখছে।
নবদ্বীপ পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে দেওয়াল লিখনে শাসকদল তুলে ধরছে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও জনমুখী প্রকল্পের কথা। কোথাও কোথাও বিরোধীদের কটাক্ষ করেও দেওয়াল লেখা হয়েছে। শাসকদল ভোটার এবং পথচলতি মানুষের মন কাড়তে বিভিন্ন কার্টুন এবং রকমারি ছড়ার ওপর জোর দিয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, খাদ্যসাথী, সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, বাংলা আবাস যোজনা, পানীয় জল, রাস্তাঘাট সহ বিভিন্ন উন্নয়নের কথা কার্টুন বা ছড়ার মাধ্যমে উঠে এসেছে। আর এই সব দেওয়াল লিখন উপভোগ করছেন ভোটার থেকে সাধারণ মানুষ। প্রায় সব ক’টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন ছড়ার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার করছে জোড়াফুল শিবির।
কোথাও তারা লিখেছে , ‘মা বোনেদের মনের কথা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৫০০ টাকা, ১০০০ টাকা। বিরোধীরা কুপোকাৎ, তৃণমূল আবার থাক।’ কোথাও লেখা হয়েছে, ‘ঝকঝকে রাস্তা, চকচকে আলো, নবদ্বীপ বলছে তৃণমূলই ভালো।’ কোথাও লেখা, ‘নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা, বেঁচে থাকার নতুন ভাষা। উন্নয়নে জোড়া ফুল, বারবার তৃণমূল।’ বিরোধীদের কটাক্ষ করে লেখা, ‘এ শহর, বিভেদ মানে না, এ শহরে, বিভেদ নয়।’ কোনও দেওয়ালে লেখা হয়েছে, ‘লাল সন্ত্রাস অতীত আজ, তৃণমূল মানে শুধুই কাজ। ৩৪ বছর মানল হার, তৃণমূল প্রার্থীরাই থাক।’
দেওয়াল লিখন প্রসঙ্গে শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামাপ্রসাদ পাল বলেন, বিরোধীদের আক্রমণ বা আঘাত না করে শালীনতা বজায় রেখে প্রচারে নেমেছি আমরা। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজকে আমরা ছড়ার মাধ্যমে তুলে ধরেছি।
অন্যদিকে সিপিএম, বিজেপিও দেওয়াল লিখন শুরু করেছে। তবে কংগ্রেসের তেমন কোনও দেওয়াল লিখন নেই বললেই চলে। কংগ্রেস এবারের নবদ্বীপ পুর নির্বাচনে ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ৯টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে।
নবদ্বীপ পুরসভার ভোট পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সুমিত বিশ্বাস বলেন, অতীতেও ছিল কার্টুন ও ছড়ার মাধ্যমে প্রচার। এটা বামপন্থীরাই করত। অন্য কোনও রাজনৈতিক দল করত না। এখন সব রাজনৈতিক দল বামেদের অনুকরণ করছেন। এটা ভালো, সুস্থ রাজনীতির প্রকাশ।
বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি তথা ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শশধর নন্দী বলেন, ছড়ার মাধ্যমে প্রচার রাজনীতির অঙ্গ। কোনও ব্যক্তি আক্রমণ নয়, কাজ করতে গেলে ভুলত্রুটি হয়। সেগুলো দূরে রেখে এলাকার সমস্যার কথা ছড়ার মাধ্যমে তুলে ধরে মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া দরকার।