কোভিড-উত্তর পর্বে পর্যটনে জোয়ার আনতে নতুন স্থানের খোঁজ রাজ্যের
কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে রাজ্যের পর্যটন শিল্পে জোয়ার আনতে উদ্যোগী হল সরকার। বিশেষভাবে পরিচিত নয়, কিন্তু ঐতিহ্যবাহী; অথবা বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বা ধর্মীয় স্থান জেলার কোথায় কোথায় রয়েছে, তা চিহ্নিত করে রাজ্যকে তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হল জেলাশাসকদের। এই জায়গাগুলিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
শনিবার সব জেলাশাসকদের নিয়ে এই বিষয়ে বৈঠক করেন মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। উপস্থিত ছিলেন পর্যটন দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। ইতিমধ্যে পর্যটন দপ্তর জেলায় জেলায় ‘রিলিজিয়াস ট্যুরিজম’-এর সার্কিট তৈরি করেছে। ‘হেরিটেজ ট্যুরিজম’ ও ‘কালচারাল ট্যুরিজম’ নামকরণ করে জোর দেওয়া হয়েছে ঐতিহ্য ও বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত জায়গাগুলিতে পর্যটনের প্রসারের উপর।
এদিনের বৈঠকে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, চিহ্নিত পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার। কোভিড পরবর্তী সময় ভিন্ন রাজ্যে বেড়াতে যাওয়ার প্রবণতা কমেছে। রাজ্যের পর্যটকরা বেছে নিয়েছেন মূলত রাজ্যেরই ‘অফবিট’ বা বিশেষভাবে পরিচিত নয়, এমন সব ভ্রমণের জায়গা। এমন সমস্ত জায়গাতেই পানীয় জল, শৌচাগারের মতো পরিকাঠামো সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। যাতে পর্যটকরা এইসব জায়গায় গিয়ে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হন। প্রয়োজনে এই সব এলাকায় রাস্তার মেরামতির কাজও করতে হবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার জেলায় জেলায় ‘ভিলেজ ফেস্টিভাল’ করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে। এতে উপকৃত হবেন রাজ্যের লোকশিল্পীরা। এই অনুষ্ঠানগুলিতে যাতে পর্যটকদের কোনওরকম অসুবিধা না হয়, সেই দিকেও নজরে রাখতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, ‘ইজ অব ডুইং বিজনেস’ নিয়েও শনিবার নবান্নে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সামনে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। অনলাইনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আরও সুবিধা করে দিতে চাইছে রাজ্য। মূলত সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার জন্যই বিস্তারিত বৈঠক করেন রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।