আজ উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় দফার ভোট, জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী অখিলেশের দল
প্রত্যাবর্তন, নাকি পরিবর্তন? তিন রাজ্যে আজ মোদি-অমিত শাহর অগ্নিপরীক্ষা। প্রথম পর্বের চাপ সামাল দিয়ে উঠতে না উঠতেই আজ উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় দফায় ৫৫ আসনে ভোট। একইসঙ্গে নির্বাচন উত্তরাখণ্ডের ৭০ আসনেই। দুই রাজ্যেই এখন বিজেপির দখলে। তাই ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ। কিন্তু আজ ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র দিনে গোলাপের সুবাস, নাকি কাঁটার আঘাত, কী অপেক্ষা করে আছে গেরুয়া শিবিরের ভাগ্যে? জাঠ, যাদব আর মুসলিম অধ্যুষিত পশ্চিম-উত্তরপ্রদেশের ভোটে আদৌ কি মন জয় করতে পারবেন যোগী আদিত্যনাথ? রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর চর্চা।
সাত দফার নির্বাচনে প্রথম পর্বে গত ১০ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে ৫৮ আসনে গ্রামের মহিলারা ব্যাপক হারে তাদের ভোট দিয়েছে বলেই সমাজবাদী পার্টির দাবি। তাদের আশা, গোড়াতেই ১১৩ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ তাদের ঝুলিতে আসবে। সমাজবাদী পার্টির (সপা) অন্যতম নেতা কিরণময় নন্দ, ‘যোগী আদিত্যনাথকে তাঁর কথাই ফেরত দেব। ভোটে উত্তরপ্রদেশকে বাংলা বানিয়ে ছাড়ব। পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু বাংলার সচেতন মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। একই হাল হবে উত্তরপ্রদেশে। বিজেপির ক্ষমতায় ফেরার স্বপ্ন চুরমার করে দেব।’
অন্যদিকে, পাহাড়ি রাজ্য উত্তরাখণ্ডে এবার ‘কাঁটে কি টক্কর।’ বলছে খোদ বিজেপিই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তরাখণ্ডে ভোটের কাজে যুক্ত পশ্চিমবঙ্গের এক এমপি বলেন, সেয়ানে সেয়ানে কোলাকুলি। বিজেপির জয় নিশ্চিত, এমনটা মোটেই বলা যাচ্ছে না। ২৯ আসনেই আটকে যেতে পারে গেরুয়া শিবির, আশঙ্কা দলেরই অন্দরে। অথচ সরকার গড়তে দরকার কমপক্ষে ৩৬ টি আসন। কংগ্রেস অবশ্য এবার উত্তরাখণ্ডে ক্ষমতায় ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী। প্রচারের সেনাপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াতের আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য, ‘কংগ্রেস এবার ক্ষমতায় ফিরছে। পাঁচ বছরে বিজেপির তিন মুখ্যমন্ত্রী দেবভূমি উত্তরাখণ্ডকে বিগড়ে দিয়েছে। কংগ্রেস হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনবে।’ লালকুঁয়া থেকে লড়ছেন হরিশ রাওয়াত।