আজ গোয়ায় ভোট, খাতা খুলতে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল
আজ গোয়ায় ভোট। মোট ৪০টি বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩০১ জন প্রার্থী। এবারে গোয়ার ভোটে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, লড়াইয়ের ময়দানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের আত্মপ্রকাশ। গোয়ায় তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে ২৬টি কেন্দ্র। বিজেপিকে হারাতে মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির (এমজিপি) সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়েছে তৃণমূলের। ১৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে এমজিপি। বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিকরের ছেলে উৎপলকে এবার প্রার্থী করেনি গেরুয়া শিবির। তিনি নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল কোনও প্রার্থী দেয়নি।
ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। ফেক ভিডিও তুলে ধরে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেছেন, গোয়া বাসী বিজেপিকে হারাবেন। এটা আমাদের বিশ্বাস। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ঢেউ এখানেও আসুক চান গোয়ার মানুষ। ভোট পর্যালোচনার জন্য পানাজিতে তৃণমূলের তরফে কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। কলকাতা থেকে সর্বক্ষণ মনিটর করবেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও গোয়ার নির্বাচনী যুদ্ধে শামিল হয়েছে। ফলে, এবার আর কংগ্রেস, বিজেপি কিংবা গোয়ার আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে লড়াই সীমাবদ্ধ নেই।
এমন বহুমুখী লড়াইয়ের সাক্ষী থেকে গোয়া শেষ পর্যন্ত কাদের দখলে যাবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। অন্যদিকে, জাতীয়স্তরে তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধিতে গোয়ার নির্বাচনকে অ্যাসিড টেস্ট হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক মহল। কমিশন সূত্রে খবর, কোভিড নিয়ন্ত্রণে যাবতীয় বিধি নিষেধ মেনেই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকছে জোরদার। নির্বিঘ্নে ভোট সম্পন্ন করতে নামানো হয়েছে মোট ৮১টি ফ্লাইং স্কোয়াড। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত (বিজেপি), দীগম্বর কামাত (কংগ্রেস), প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চার্চিল আলেমাও (তৃণমূল), রবি নায়েক (বিজেপি), প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় সরদেশাই (জিএফপি) প্রমুখ। গোয়ার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কুনাল জানিয়েছেন, প্রতি বুথে গড়পরতা ভোটার সংখ্যা ৬৭২। যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম।