দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

বিরোধীদের কালো টিকা বলে সম্মোধন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের

February 14, 2022 | 2 min read

ছবি সৌজন্যে: এবিপি

এ বারও চন্দননগর পুরনিগম ধরে রাখল তৃণমূল। মোট ৩২ আসনের মধ্যে ৩১টি পেয়েছে তৃণমূল। একটি আসন পেয়েছে সিপিএম। ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সিপিএম প্রার্থী অভিজিৎ সেন জয়ী হয়েছেন ১২৩ ভোটে। আর সেই জয়কেই কটাক্ষ করে কালো টিকার সঙ্গে তুলনা করেছেন চন্দননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তিনি বলেন, “বিজেপি পেয়েছে শূন্য আর সিপিএম পেয়েছে একটা ওয়ার্ড। এর মানে কোনও কিছু ভালর জন্য একটা কালো টিকা।”

পুরনিগম দখল করা শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। সোমবার গণনা শুরু হওয়ার পর যত সময় এগিয়েছে একের পর এক ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ের খবর এসেছে। জয়োল্লাসে মেতে ওঠেন তৃণমূল কর্মীরা। প্রার্থীরা সবুজ আবির মেখে ডিজে বাজিয়ে রাজপথে মিছিল বার করেন। খলিসানিতে দলীয় কার্যালয়ে জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন ইন্দ্রনীল। সেখানেই তিনি বলেন, “এ বার নির্বাচনে ২২ জনই ছিলেন নতুন মুখ। তাঁরা জয়ী হয়েছেন।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে সব প্রকল্প রাজ্যে চলছে তার সুবিধা সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন। পাশাপাশি পুরনিগমের পরিষেবাতেই মানুষ খুশি ছিল তারই ফল এ বার বিপুল ভোটে জয় বলেই মন্তব্য করেছেন চন্দননগরের বিধায়ক। তাঁর কথায়, “এই জয়ের পর আমাদের লক্ষ্য হবে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে নিবিড় এবং আন্তরিক ভাবে পরিষেবা দেওয়া। বিভিন্ন প্রকল্প, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা দিয়ে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে খুশি করতে হবে।” এর পরেই সিপিএম এবং বিজেপি-কে একযোগে আক্রমণ করেন। ইন্দ্রনীল বলেন, “আগে বাম-রাম এক সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাস্ত করবে বলে চক্রান্ত করেছিল। বাংলার ১০ কোটি মানুষ সেটা কোনও ভাবেই গ্রহণ করেননি। তাঁদের অন্তরে ঢুকে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

ভোট নিয়ে বিজেপি-র বিক্ষোভ প্রসঙ্গও টেনে আনেন ইন্দ্রনীল। তাঁর কথায়, “বিক্ষোভ দেখানো ছাড়া বিজেপি-র কোনও রাজনৈতিক কাজ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা মসৃণ রাস্তায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া বাতিস্তম্ভের নীচে দাঁড়িয়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যের জল খেয়ে বেঁচে আছে বিজেপি। আর বিভিন্ন অফিসের সামনে বিক্ষোভ করছে।”

২০১৫ সালের পুরসনিগম ভোটে ২১টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিল তৃনমূল। দু’জন তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে নির্দলে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন। পরে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন। অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে সেই পুরবোর্ড আড়াই বছর পর ২০১৮ সালে ভেঙে যায়। পুর প্রশাসক বসিয়ে এত দিন চন্দননগর পুরনিগম চলেছে। এ বার কি নিজেদের মধ্যে কোনও ভুল বোঝাবুঝি হবে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে ইন্দ্রনীল বলেন, “কাজ করলে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। ভুল বোঝাবুঝি থাকলে সেটা সংশোধন করতে হবে। আমরা চন্দননগরের মানুষের জন্য এ সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে একসঙ্গে কাজ করেছি। আগামী দিনে ভদ্রেশ্বর পুরসভাতেও ২২টি ওয়ার্ডের সব ক’টিতে জয়ী হব।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#RESULTS, #Indranil Sen, #Chandannagar, #tmc

আরো দেখুন