ই-রিকশর জন্য রাজ্য সরকারের গতিধারা প্রকল্পের সুবিধা মিলবে কীভাবে? জেনে নিন
টোটো বা ই-রিকশর জন্য রাজ্য সরকারের গতিধারা প্রকল্পের সুবিধা মিলবে। কীভাবে মিলবে? তা এতদিন স্পষ্ট ছিল না। কোন গাইডলাইন অনুসরণে তা মিলবে, সাম্প্রতিক এক মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট তা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।মামলাকারী রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটির কাছে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করেও সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে আসেন।
আদালতকে মামলাকারীর তরফে কনিষ্ক সিনহা জানান, ২০১৮ সালের এক সরকারি হলফনামা অনুযায়ী গতিধারা প্রকল্প অনুসরণে ই-রিকশ মিলতে পারে। কিন্তু, মামলাকারীর আবেদন গ্রাহ্য করা হয়নি। জবাবে সরকারি আইনজীবী ওই প্রকল্পের উল্লেখ করে জানান, মামলাকারীর আবেদন প্রকল্পের গাইডলাইন অনুযায়ী করা হয়নি। সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য নেই। মামলাকারীর অবস্থানও স্পষ্ট নয়।
এমন সওয়াল-জবাব সূত্রে বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য তাঁর রায়ে বলেছেন, ২০১৫ সালে পরিবহণ দপ্তরের রেজোল্যুশন বা সিদ্ধান্ত, যা ২০১৭ সালে সংশোধিত হয়েছিল, সেখানে সম্পর্কিত গতিধারা প্রকল্পের উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা আছে, কে আবেদনকারী, ডিলার এবং কে গতিধারা প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন। যে সুবিধা পেতে কীভাবে পরিবহণ দপ্তরের কাছে আবেদন করতে হবে, তাও বলা আছে। কেমন গাড়ি এবং তার জন্য পারমিট কীভাবে মিলবে, তাও বলা আছে। শুধু নির্দিষ্ট ফরম্যাটে বা চেহারায় আবেদন করতে হবে।
রায়ে আরও বলা হয়, মামলাকারী নির্দিষ্ট ফরম্যাটে আবেদন করেননি। আবেদনকারী সম্পর্কিত গাইডলাইন মতো সব তথ্য সেখানে জানানো জরুরি। তাই মামলা খারিজ করলেও মামলাকারী নতুন করে ওই প্রকল্পের ফরম্যাট অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। যদি প্রকল্প অনুযায়ী সেই যোগ্যতা থাকে।