উত্তরবঙ্গ সফরে এসে মনীষী পঞ্চানন বর্মাকে শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীর
তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে এসে সোমবার শিলিগুড়ির নৌকাঘাট মোড়ে মনীষী পঞ্চানন বর্মাকে শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি পঞ্চানন বর্মার মূর্তির পাদদেশে উপস্থিত হন। পঞ্চাননের পূর্ণাবয়ব মূর্তিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে রাজবংশী সমাজের উন্নয়নের জন্য যে ব্যাপক কর্মকাণ্ড চলছে তিনি তা তুলে ধরেন।
পঞ্চানন বর্মা ১৮৬৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। রাজবংশী সম্প্রদায়ের আত্মিক ও সামাজিক উন্নতির জন্য ক্ষত্রীয় সভা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি পঞ্চানন বর্মাকে জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাতেই এসেছি। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর রাজবংশী সমাজের উন্নয়নে বিশেষ জোর দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কোচবিহারে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। খলসিমারিতে তার দ্বিতীয় ক্যাম্পাসও তৈরি করে দিয়েছি। ২০০টি রাজবংশী স্কুল চালু হতে চলেছে। রাজবংশী অ্যাকাডেমি গঠন করেছি। রাজবংশী ভাষার স্বীকৃতিও দিয়েছি।
উত্তরবঙ্গে বসবাসকারী প্রতিটি সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনে ও তাঁদের সংস্কৃতির উন্নয়নেও রাজ্যের তৃণমূল সরকারের সমান নজর রয়েছে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা নেপালি কবি ভানুভক্তর জন্মদিনও দার্জিলিংয়ে গিয়ে পালন করি। মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় ট্রাইবাল ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের মিটিং করে কোচবিহারে যাব। সেখানে চিলা রায়ের ১১২তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করব। রাজবংশী সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে যেমন আমাদের নজর রয়েছে, সেইরকম অন্যান্য ভাষাভাষী মানুষের উন্নয়নেও আমাদের নজর আছে। সেই মতো কাজ করছি। উত্তরবঙ্গের রাজবংশী ভাষা ও শিক্ষার প্রসারে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, সেইরকম হিন্দি শিক্ষার সুযোগ সুবিধাও বাড়ানো হয়েছে।