‘বিজেপি হিজাব প্রসঙ্গ তুললে আমরাও মোদী সরকারের কাছে হিসেব চাইব’: রাকেশ টিকায়েত
‘বিজেপি হিজাব প্রসঙ্গ তুললে আমরাও মোদী সরকারের কাছে হিসেব চাইব। হিজাবের পাল্টা হিসেব।’ সোমবার উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের দিনেই গেরুয়া শিবিরকে ঠিক এই ভাষাতেই কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (বিকেইউ) সর্বভারতীয় কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। এদিন তিনি বলেন, ‘বিজেপি সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করছে। বিভেদের কথা বলছে। ছাত্রছাত্রীরা কী পরে স্কুলে-কলেজে যাবেন, তাও নিশ্চিত করে দিচ্ছে। বিজেপি যদি হিজাবের কথা বলে, আমরাও হিসেব চাইব। জবাব চাইব, কৃষকদের স্বার্থে কেন্দ্রের মোদি সরকার এখনও পর্যন্ত কোন কোন প্রতিশ্রুতি পালন করেছে।’
এদিন যখন কানপুরে নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সেইসময় কানপুরে বসেই বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন কৃষক। এবং ফের বিজেপিকে হারানোর ডাক দিয়ে শাস্তি দিতে বলেন। ঘটনাক্রমকে তাৎপর্যপূর্ণই বলছে রাজনৈতিক মহল। পরে লখনউ প্রেস ক্লাবেও এক সাংবাদিক সম্মেলন করে যোগী-সরকারের তুলোধোনা করেন সর্বভারতীয় কৃষক নেতারা। সোমবার সংযুক্ত কিষান মোর্চা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, ‘যদি লখিমপুর খেরি কাণ্ডে কৃষকরা সুবিচার না পান, তাহলে আবারও স্থায়ী আন্দোলনের পথেই হাঁটা হবে।’
কিষান মোর্চা বলেছে, ‘বিজেপি সরকার সবসময়ই অপরাধ মুক্ত সমাজ গড়ার কথা বলে। বড় বড় দাবি জানায়। কিন্তু বাস্তবে কৃষক-হত্যায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি এবং তাঁর ছেলে আশিসকে রক্ষা করতে উদ্যোগী হয়। এই দ্বিচারিতা চলতে পারে না। কৃষক হত্যাকারীকে নিজের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিষানদের কাছে কোন ভালোবাসা চাইছেন?’ প্রশ্ন তুলেছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। জলন্ধরে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ চলার সময়ও ‘অ্যান্টি পাঞ্জাব মোদী’ স্লোগান তুলে সরব হন কৃষক নেতারা।